Kestopur Student Death: ‘কী চাইছিস তোরা বল’, কেষ্টপুর-কাণ্ডে মৃত অতনুর বাড়িতে আজ সন্ধেতেও এসেছে ‘হুমকি’
Kestopur: সন্ধে ৬ টা ৩৬ মিনিটে আবারও একটি ম্যাসেজ আসে হোয়াটসঅ্যাপে। তাতে লেখা, "কি চাইছিস তোরা বল"।
কলকাতা : কেষ্টপুরের দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। ২২ অগস্ট ‘অপহরণ’ করা হয়েছিল অভিষেক ও অতনুকে। পুলিশি জেরায় এক অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে, ওইদিনই রাত ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে গাড়ির মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ‘হত্যা’ করা হয়েছিল ওই দুই কিশোরকে। কিন্তু তারপরও আসছিল মুক্তিপণের দাবি। ইতিমধ্যেই পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে ওই ঘটনায়। কিন্তু মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী এখনও পলাতক। আর এদিকে এরমধ্যেই অতনুর পরিবারের সদস্যের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি নম্বর থেকে ‘হুমকি’ আসছে।
দুপুর ৩ টে ১২ মিনিটে একটি হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজ আসে। তারপর আরও কয়েকটি ম্যাসেজ। এরপর চার বার ওই নম্বর থেকে ভয়েস কলও করা হয় হোয়াটসঅ্যাপে। দুপুর ৩ টে ১৪। দুপুর ৩ টে ৫৮। সন্ধে ৬ টা ২৫। সন্ধে ৬ টা ৩৫। এরপর আরও একটি ম্যাসেজ আসে সন্ধে ৬ টা ৩৬ মিনিটে। দুপুরে যে ম্যাসেজগুলি এসেছিল, তাতে লেখা, “শোন, তোদের টাকা দিতে হবে না। তোরা পারবিও না টাকা দিতে। তোর ছেলের ডেড বডি বৃহস্পতিবার পেয়ে যাবি… বুধবার শেষ দিন অতনুর জীবনের। বৃহস্পতিবার আমি যে থানায় বলব, সেই থানায় চলে যাবি, বডির সন্ধান দিয়ে দেবে।” এরপর আর কোনও ম্যাসেজ আসেনি দুপুরে।
এদিকে ততক্ষণে বসিরহাটে দেহ উদ্ধারের খবর প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। কিন্তু খানিক পরে আবার ফোন আসতে শুরু করে। শেষে সন্ধে ৬ টা ৩৬ মিনিটে আবারও একটি ম্যাসেজ আসে হোয়াটসঅ্যাপে। তাতে লেখা, “কি চাইছিস তোরা বল”। পুলিশ সূত্রে খবর, যেহেতু এই ম্যাসেজগুলি যে নম্বর থেকে আসছে, সেটির ব্যবহারকারী বার বার নিজের অবস্থান বদল করছে। সেই কারণে, তাদের এখনও ধরা যাচ্ছে না।
তবে সংবাদমাধ্যমে দেহ উদ্ধারের খবর প্রকাশ্যে আসার পরও এভাবে হুমকি ম্যাসেজ আসায় বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন পুলিশ ওই নম্বরের সন্ধান পাচ্ছে না? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।