Attack on TV9 Bangla: ‘তৃণমূলের বদনাম করার জন্যই এসব’, টিভি-৯ বাংলার উপর হামলার কড়া নিন্দা পার্থ-কাকলিদের

Attack on TV9 Bangla: কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “আমরা সংবাদমাধ্যমকে সম্মান করি গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসাবে। সংবাদমাধ্যমের উপরে কোনওরকমের আক্রমণ, কোনও হামলাকে আমরা নিন্দা জানাই। যারা এর সঙ্গে জড়িত, পুলিশ প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে অ্য়াকশন নেবে।”

Attack on TV9 Bangla: ‘তৃণমূলের বদনাম করার জন্যই এসব’, টিভি-৯ বাংলার উপর হামলার কড়া নিন্দা পার্থ-কাকলিদের
কী বলছে তৃণমূল? Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2024 | 8:57 PM

কলকাতা: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে ফুঁসছে সন্দেশখালি। বিগত কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। জ্বলে গিয়েছে শিবু-উত্তমদের পোল্ট্রি, বাগানবাড়ি। জনরোষের মুখে একদিন আগে তৃণমূল কর্মীদের নদীতে ঝাঁপও দিতে দেখা যায়। এদিন সকাল থেকেও চলে বিক্ষোভ। এলাকার বেশ কিছু লোকজনকে ধরেও নিয়ে যায় পুলিশ। এদিনই আবার পাল্টা জেলিয়াখালির দখল নিতে ঝাঁপায় শিবু হাজরার দলবল। সেই খবর করতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়ে টিভি-৯ বাংলা। ভেঙে দেওয়া হয় ক্যামেরা। আক্রান্ত হন আমাদের রিপোর্টার সৌরভ দত্ত, চিত্রসংবাদিক গৌরব পাল। হামলায় নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় শিবু ঘনিষ্ঠ সামাদ মোল্লা, নিশিকান্ত বরদের। ঘটনার নিন্দায় সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। অবশেষে মুখ খুলল তৃণমূলও। 

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে দোষীদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত বলে স্পষ্ট বললেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। পার্থ বললেন, “স্থানীয় মানুষজন সামনে এসে বলছে আমরা তৃণমূল কর্মী। ওরা তো তৃণমূলের বিরুদ্ধেই কথা বলছে। তাহলে বুঝে দেখুন তাঁরা কীরকম তৃণমূল কর্মী। স্বাভাবিকভাবে তাঁরাই এসব ভেঙেছে। তৃণমূলের বদনাম করার জন্য এসব করেছে। কোনও সময়ে সংবাদমাধ্যমের উপর আক্রমণ আমরা কোনওদিন সমর্থন করি না। আমরা তীব্র ভাষায় এর নিন্দা করছি। সংবাদিকদের স্বাধীনতা থাকা উচিত। কারণ তাঁরা গণতন্ত্রের একটা প্রধান স্তম্ভ। যাঁরা এ কাজ করেছে আমি আশা করব পুলিশ প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”

একই সুর কাকলি দেবীর গলাতেও। তিনি বলেন, “আমরা সংবাদমাধ্যমকে সম্মান করি গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসাবে। সংবাদমাধ্যমের উপরে কোনওরকমের আক্রমণ, কোনও হামলাকে আমরা নিন্দা জানাই। যারা এর সঙ্গে জড়িত পুলিশ প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে অ্য়াকশন নেবে।”

অন্যদিকে ঝামেলার পিছনে সিপিএম-বিজেপির ইন্ধন দেখছেন পার্থ। তাঁর দাবি, এলাকায় তৃণমূলের শক্তি বরাবরই কম ছিল। তিনি বলেন, “সন্দেশখালি পঞ্চায়েতটা আমরা কোনওদিন জিততে পারিনি। ২০১৪ সাল, ২০১৬ সাল, ২০১৯ সাল, সব নির্বাচনেই বরাবরই সিপিএম জেতে। সেখানে সিপিএমের সঙ্গে বিজেপির একটি অংশ একজোট হয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে। একটা অঞ্চলে এরকম ঘটনা ঘটিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে যে গোটা সন্দেশখালিতে বোধহয় অশান্তি লেগে গেছে। এটা একটা অঞ্চলের ঘটনা। গোটা বিধানসভার চিত্র নয়।” অন্যদিকে ইতিমধ্যেই আবার সন্দেশখালি কাণ্ডে দোষীরা কঠিন শাস্তি পাবে বলে জানিয়েছে নবান্ন।