Arjun Chaurasia: অর্জুনের শোকযাত্রায় ভারাক্রান্ত পদ্ম শিবির, রাজ্য দফতর থেকে কাশীপুরের বাড়িতে যুব নেতার দেহ
আদালতের নির্দেশে শনিবারই কম্যান্ড হাসপাতালে অর্জুনের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। তারপরই মৃতদেহ নিয়ে শোকযাত্রা যায় বিজেপির সদর দফতরে।
কলকাতা: কাশীপুরের নিহত বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার (BJP leader Arjun Chaurasia) মৃত্যুতে শুক্রবার থেকেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। অর্জুনের মৃত্যু আদপে ‘আত্মহত্যা’ নাকি ‘খুন’ সেই প্রশ্নেই জোরদার চাপানউতর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির (BJP) দাবি, খুন করা হয়েছে অর্জুনকে। আর তাতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress)। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে অর্জুন মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)। এদিকে আদালতের নির্দেশে শনিবারই কম্যান্ড হাসপাতালে অর্জুনের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। এরপরই শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের শোকযাত্রা। মিছিলের স্রোতে ভেসেই বিজেপির সদর দফতরে নিয়ে আসা হয় অর্জুনের দেহকে। তারপর এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তা নিয়ে যাওয়া হয় কাশীপুরের বাড়িতে। আজই শেষকৃত্য হবে নিমতলা মহাশ্মশানে।
এদিন ময়নাতদন্ত শেষ হতেই অর্জুনকে শেষবার দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরাও। এদিন কাশীপুরের যে এলাকায় অর্জুনের বাড়িতে সেখানে রীতিমতো ভিড়ও জমে যায়। তবে অবশেষে ঘরে ফিরল পাড়ার ছেলে। তবে পায়ে হেঁটে নয়। ঘরে এল অর্জুনের নিথর দেহ। এদিন এখানেও এলাকার যুব মোর্চার সদস্যরা অর্জুনকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এদিন অর্জুনের বাডড়িতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে, পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যেতির্ময় সিং মাহাতো সহ একাধিক শীর্ষ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বকে অর্জুনের কাশিপুরের বাড়িতে দেখা যায়। তাঁরাও শেষ শ্রদ্ধা জানান অর্জুনকে। পা হেঁটেই তাঁরা এদিন ঘোষ বাগান লেনে এসে পৌঁছন।
তবে শুক্রবার অর্জুনের মৃত্যুর খবর মিলতে যেভাবে তৃণমূল কর্মী, নেতাদের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল, এদিন ততটা দেখা যায়নি। গতকালই কাশীপুর-বেলগাছিয়ার বিধায়ক অতীন ঘোষের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। পাশাপাশি অর্জুনের বাড়ি গিয়েছিলেন এলাকার কাউন্সিলর সুমন্ত সিং। কিন্তু, শনিবারের সকাল থেকে আর তাঁদের উপস্থিতি নজরে পড়েনি। এদিকে অর্জুনের মৃত্যুর জন্য বিজেপি ঘাসফুল শিবিরকে কাঠগড়ায় তুললেও, তৃণমূলের দাবি ছিল অতীতে তাদের দলেরও হয়েও নাকি কাজ করেছিলেন অর্জুন। তাতে নতুন করে বেড়েছিল রাজনৈতিক চাপানউতর।