কলকাতা : বগটুই গ্রামে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের (Bagtui Massacre) পর বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় থেকেই বিরোধীরা বিশেষ কর বিজেপি শিবির অভিযোগ করে আসছে, কাকে কোন ধারা দেওয়া উচিত, সেই সব ইঙ্গিত দিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ আসছিল, মুখ্যমন্ত্রী তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। সেই প্রসঙ্গে শনিবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তদন্তকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টা করেননি। মুখ্যমন্ত্রী যদি বলে থাকেন, মানুষ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, আগে তাদের ধরো। এতে কী ভুল বলেছেন তিনি? এলাকার মানুষের যা বক্তব্য, তদন্তে যেন তার প্রতিফলন থাকে, পুলিশমন্ত্রী হিসেবে তিনি পুলিশকে তা বলবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক।”
সেই সঙ্গে বিজেপির অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে তাঁর আরও সংযোজন, “মুখ্যমন্ত্রী তো এটা বলেননি যে মানুষ যাদের নামে অভিযোগ করছে, তাদের ধরা যাবে না। একবারও বলেননি। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, দোষীরা কড়া শাস্তি পাবে। যারা সত্য়িই এই অপরাধ করেছে, তাদের যেন যথাযথ ধারা দেওয়া হয়। এর সঙ্গে তদন্ত প্রভাবিত করার কী সম্পর্ক? যে কোনও নিরপেক্ষ, সুস্থ প্রশাসন তো এই কথাই বলবে।”
কুণাল ঘোষ রবিবার ফের একবার বিরোধীদের উদ্দেশে পাল্টা আক্রমণ শানান। কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া একজন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখান, যিনি এই ধরনের কোনও ঘটনার পরে মানুষের পাশে আছেন। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন, রামপুরহাটেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন।” সেই সঙ্গে রামপুরহাট হত্য়াকান্ডের তদন্ত নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শেখাতে হয় না। সিট গঠন করেছেন। তদন্তে কড়া ধারা দিয়ে গ্রেফতার করতে বলেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে মানবিকভাবে দাঁড়িয়ে যা যা পদক্ষেপ করার করেছেন। আমি আবারও বলছি, ঘটনা নিন্দনীয় এবং দুর্ভাগ্যজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকার যা যা করার করেছে। সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসের সমালোচনা করার অধিকার নেই।”
আরও পড়ুন : Bagtui Massacre: চিঠি দিয়েছিলেন ভাদু শেখ, বগটুই হত্যাকাণ্ডে এবার প্রশ্নের মুখে দুই শীর্ষ পুলিশ কর্তার ভূমিকা