ISF leader Naushad Siddiqui : মিলল না জামিন, ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে নওশাদ
ISF leader Naushad Siddiqui : আরও ১৪ দিনের জন্য নওশাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। অর্থাৎ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলেই থাকছেন আইএসএফ (ISF) নেতা।
কলকাতা : গত একুশে জানুয়ারি ধর্মতলায় (Dharmatala) পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পরেই গ্রেফতার হয়েছিলেন আইএসএফ নেতা তথা রাজ্য়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (ISF leader Naushad Siddiqui)। গ্রেফতার হন নওশাদ-সহ আরও ১৮ আইএসএফ কর্মী-সমর্থক। তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তবে নওশাদ শিবিরের তরফে তাঁদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলেও সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিনই সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফের তাঁদের তোলা ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তবে এদিনও মিলল না জামিন। ১৪ দিনের জন্য নওশাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। অর্থাৎ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলেই থাকছেন আইএসএফ নেতা।
প্রসঙ্গত, ২১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কলকাতায় বড় সভার আয়োজন করা হয় আইএসএফের তরফে। অভিযোগ, সেই কর্মসূচিতে আসতে আইএসএফ কর্মীদের বাধা দেয় তৃণমূল। ভাঙড়ে পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্য়ে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় বলে জানা যায়। নওশাদের উপরেও হামলার অভিযোগ ওঠে ভাঙড়ের দোর্দোণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের দলবলের বিরুদ্ধে। পাল্টা আইএসএফের বিরুদ্ধে তৃণমূলের একাধিক পার্টি অফিস ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ভাঙড়ের রেশ এসে পড়ে ধর্মতলাতেও। সেখানেও অবরোধ শুরু করে নওশাদ শিবির। আরাবুলকে গ্রেফতারের দাবিও তোলা হয়। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ব্যাপক ধস্তাধস্তিও শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা ধর্মতলা চত্বর। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে আইএসএফের বিরুদ্ধে। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ফাটে কাঁদানে গ্যাসের সেল। গ্রেফতার করা হয় নওশাদ সহ আরও অনেক আইএসএফ কর্মী সমর্থককে।
এদিকে নওশাদ-সহ দলের গ্রেফতার হওয়া কর্মী-সমর্থকদের মুক্তির দাবিতে গত মাসের শেষেই পথে নামে আইএসএফ। নওশাদের গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে বাম-বিজেপিকেও। পুলিশের অনুমতি ছাড়াই শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বিশাল মিছিল করে আইএসএফ। যেখানে পা মেলায় নাগরিক সমাজের একটা বড় অংশও।