কলকাতা: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মহম্মদ হাবিদুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জাল নথি নিয়ে এই প্রথম ভারতে অনুপ্রবেশ করেননি তিনি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গত প্রায় ১০ বছর ধরে ভারতে যাতায়াত ছিল তাঁর। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১৭ সালে আধার কার্ড ও পান কার্ড বানান তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে পার্কস্ট্রিটের মার্কুইস্ট্রিট থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যায়, ২৬ ডিসেম্বর জাল নথি নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় আধার কার্ড ও প্যান কার্ড।
তদন্তে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত থেকে জাল আধার ও প্যান কার্ড তৈরি করেছিলেন আবিদুর। মধ্যমগ্রামের দেবগড় নামে একটি ঠিকানা ব্যবহার করে আধার কার্ড বানানো হয়। টাকার বিনিময়ে জাল নথি তৈরি করে দিয়েছিলেন, এমন কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, কলকাতায় এক বছর ধরে থাকছিলেন আবিদুর। দুই-তিন মাস অন্তর অন্তর আস্তানা বদল করতেন। বন্দর এলাকার বিভিন্ন ঠিকানায় ছিলেন। শেষ ছিলেন খিদিরপুর এলাকায়। তবে কোনও ঠিকানা সুনির্দিষ্টভাবে তদন্তকারীদের বলতে চাইছেন না আবিদুর। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, পাকাপাকিভাবে ভারতে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল আবিদুর রহমানের। অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে, জাল নথি তৈরিতে বারাসতের নাম ফের উঠে আসায় উদ্বেগ বাড়ছে। বারাসত থেকে এর আগে পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলায় সমরেশ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। সমরেশের ছেলে রিপনও গ্রেফতার হয়েছিল বারাসাত থেকেই। এবার সেই বারাসত থেকেই জাল আধার কার্ড বানানোর তথ্য পেল পার্কস্ট্রিট থানার পুলিশ।