AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Beliaghata ID: ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন বুঝতে অসুবিধা হয় রোগীদের, অভিনব উদ্যোগ বেলেঘাটা আইডির

Beleghata: পেশেন্ট কাউন্সেলিং সেন্টারে রোগী ও পরিজনদের ওষুধের খুঁটিনাটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

Beliaghata ID: ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন বুঝতে অসুবিধা হয় রোগীদের, অভিনব উদ্যোগ বেলেঘাটা আইডির
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি তরুণী। ফাইল ছবি।
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2021 | 8:04 AM
Share

কলকাতা: চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন লিখে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সবটাই তাড়াহুড়োয়। ফার্মাসিস্টরাও সবটা বোঝাতে পারেন না সব সময়। আবার এমনও হয় রোগী এত তাড়াতাড়ি বোঝানোয় সবটা বুঝে উঠতে পারেন না। আখেরে বিভ্রান্ত হতে হয় রোগী ও তাঁর পরিজনদের। সমস্যা মেটাতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল (Beliaghata ID Hospital)। পেশেন্ট কাউন্সেলিং সেন্টার খুলেছে তারা। শহরের প্রথম সারির মেডিক্যাল কলেজগুলি সেই পথেই হাঁটুক চাইছেন রোগীরা।

শহরের একাধিক প্রথম সারির হাসপাতাল থেকে নিয়মিত একই অভিযোগ ওঠে। যেখানে প্রতিদিন কয়েক হাজার রোগীর যাতায়াত। সেখানে ওষুধ নিতে এসে নানারকম সমস্যায় পড়তে হয় রোগীর আত্মীয়দের বলে অভিযোগ। প্রেসক্রিপশন বুঝতে পারেন না অধিকাংশই। চিকিৎসকরাও রোগীর চাপে বেশি সময় দিতে পারেন না। প্রেসক্রিপশন বুঝতে না পারায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগী বা তাঁর আত্মীয়রা ওষুধের ডোজ় নিয়ে সমস্যায় পড়েন। রোগীদের অভিযোগ, পাঁচটা ওষুধ দিলে একটা কখন খেতে হবে তা বল দেয়। বাকিগুলো নিয়ে উচ্চবাচ্যই নেই।

এই সমস্যাগুলি মেটাতেই ইতিমধ্যে বেলেঘাটা আইডি চালু করেছে পেশেন্ট কাউন্সেলিং সেন্টার। সেখানে রোগী ও পরিজনদের ওষুধের খুঁটিনাটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক দু’দিন খাওয়ার পরই রোগটা কমে যায় বা জ্বরটা কমে যায়। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক যে পাঁচদিন বা সাতদিন নাগাড়ে খেয়ে যেতে হবে, তা না হলে সে ওষুধের কাজটাই হবে না এটা রোগীদের বোঝানো দরকার। ফার্মাসিস্টরা যদি রোগীদের এই কথাগুলি বুঝিয়ে বলেন, তা হলে রোগীও সতর্ক হবেন। একটা ওষুধের কোর্স সম্পূর্ণ করবেন।

বেলেঘাটা আইডি সেই উদ্যোগটাই নিল। এ রাজ্যে নিঃসন্দেহে এই ধরনের সেন্টার অভিনব। বেলেঘাটা আইডির ফার্মাসিস্টরাই এই প্রস্তাব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিয়েছিলেন। তাঁরাই আউটডোরের একটা অংশে পেশেন্ট কাউন্সেলিং সেন্টারটি চালাবেন। এমন উদ্যোগ সর্বত্র হোক চাইছেন রোগীর পরিজনেরা।

এর আগেও কোভিড আগে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছিল এই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। অতিমারি পরিস্থিতিতে গত দেড় বছরে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোভিড রোগীর চিকিৎসা করেছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। কেমন আছেন কোভিড জয় করে তাদের হাসপাতাল থেকে ফিরে যাওয়া রোগীরা তা জানতে বিশেষ টেলিফোনিক সমীক্ষা শুরু করে তারা। কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (CSIR) ও ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজি (IICB)-এর যৌথ উদ্যোগে এই সমীক্ষা চালানোর ঘোষণা করেছিল বেলেঘাটা আইডি। প্রথমে টেলিফোনে সমীক্ষা শুরু হলেও পরে ওয়েব সার্ভের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়।

সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর অনেকেই তো পোস্ট কোভিড সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন না। অনেকে বাড়িতে থাকেন, স্থানীয় চিকিৎসককে দেখান। অনেকে আবার বিনা চিকিৎসায় বসে আছেন। সার্বিক ভাবে তাঁরা কেমন আছেন, অর্থাৎ তাঁদের শারীরিক-মানসিক-আর্থিক-সামাজিক পরিস্থিতি কেমন তা জানার জন্যই এই সমীক্ষা।

আরও পড়ুন: Bhawanipore: রাতের ভবানীপুরে ফের উত্তেজনা, দুই যুবককে উইকেট দিয়ে মারধর, ফাটল থুতনি