Bengal BJP Age Limit Criteria: বেঁধে দেওয়া হল বয়সসীমা! বিজেপি করতে গেলে এবার দেখাতে হবে বার্থ সার্টিফিকেট

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 28, 2021 | 3:42 PM

Bengal BJP Age Limit Criteria: মণ্ডল সভাপতির বয়স হতে হবে ৪৫-এর মধ্যে। পুরভোটের আগে সংগঠনকে দ্রুত ঢেলে সাজাতে চায় গেরুয়া শিবির।

Bengal BJP Age Limit Criteria:  বেঁধে দেওয়া হল বয়সসীমা! বিজেপি করতে গেলে এবার দেখাতে হবে বার্থ সার্টিফিকেট
বিজেপিতে ক্ষোভ কমাতে পদক্ষেপ রাজ্য নেতৃত্বের (প্রতীকী ছবি)

Follow Us

কলকাতা: এবার থেকে বিজেপি-র যুব মোর্চার দায়িত্ব পেতে প্রয়োজন হবে বয়সের সার্টিফিকেটের। গেরুয়া সংগঠনে ‘নতুন মুখ’ আনতে তরুণ রক্তের খোঁজ বিজেপিতে। যুব মোর্চা ও মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা। যুব মোর্চার সভাপতি বয়স কখনওই ৩৫ বছরের বেশি হবে না। অন্য দিকে, মণ্ডল সভাপতির বয়স হতে হবে ৪৫-এর মধ্যে। পুরভোটের আগে সংগঠনকে দ্রুত ঢেলে সাজাতে চায় গেরুয়া শিবির।

পাখির চোখ পুরভোট, সংগঠনকে ঢেলে সাজাচ্ছে বিজেপি। এই নিয়ে সোমবারই একটি বিশেষ বৈঠক হয়। দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে স্থির করা হয়েছে ৩৫ বছর পর্যন্ত যুব মোর্চা করা যাবে। মহিলা মোর্চা করার ক্ষেত্রেও বয়সের উর্ধ্বসীমা ৩৫ বছরই। এরকম দেখা গিয়েছে, ৫০ বছর বয়সেও যুব মোর্চার আন্দোলনে রয়েছেন, তিনি কোনও পদের অধিকারী। বিজেপি এই জায়গাটাকে ঠিক করতে চায়। আন্দোলন-সংগ্রামে তারুণ্যের ছোঁয়া বজায় রাখতে চাইছে বিজেপি। এই একটা বিষয় করতে চাইছে ২০২৪ সালের নির্বাচনকে মাথায় রেখে।

সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করতে ইয়ং জেনারেশনের ওপর আস্থা রাখতে চাইছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে ইদানীং দল অন্তর্ঘাতের সমস্যায় নাজেহাল। বিজেপির রাজ্য কমিটি থেকে সায়ন্তন বসুর নাম বাদ, তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধন্দ, তদুপরি বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন- এই সবেরই ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে বিজেপিকে।

এই অসন্তোষ বিজেপিকে ভাবাচ্ছে, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সোমবারই বিজেপির বৈঠক ছিল। রাজ্য কমিটির সভাপতি, সদস্যদের নিয়ে বৈঠক হয়। যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দলীয় স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করা হবে, যদিও সেই স্ট্র্যাটেজি প্রকাশ্যে আনা হবে না বলেই মত বিশ্লেষকদের। তবে বয়সের সীমা নির্ধারণের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয় এই বৈঠকে।

বিধানসভা ভোটে ২০০ আসনের স্বপ্ন দেখিয়ে মিলেছে ৭৭ টি আসন। তার ৭ মাসের মধ্যে কলকাতার ভোটপ্রাপ্তি হিসাবে বামেদের থেকে পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি। অসন্তোষ, অন্তর্ঘাতের দাওয়াই না পেলে বিপদ বাড়বে গেরুয়া শিবিরের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এগুলো বিশ্লেষণের বিষয়। এগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আগামী দিনে আমরা চিন্তাভাবনা করব। যাঁরা এই ধরনের কাজ করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দল কী ব্যবস্থা নেবে, দেখা যাক।”

লোকসভা ভোটের তিন বছরও বাকি নেই। তার আগে বড় নির্বাচন বলতে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির রাজ্য জোড়া পুরভোট। সেখানেও বিজেপির একই হাল হলে, বামেরাই কার্যত প্রধান বিরোধী হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। চিন্তায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও।

আরও পড়ুন: BJP MLA Whatsapp Group Left: বিজেপিতে ‘গ্রুপ’ ছাড়ার হিড়িক! কেন বেরিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক বিধায়ক?

আরও পড়ুন: জেতা ওয়ার্ডেই প্রার্থী হচ্ছেন অশোক, শিলিগুড়িতে কি ফের সম্মুখ-সমরে ‘গুরু-শিষ্য’?

Next Article