Durga Puja: ঘুচল জল্পনা; এবারও পুজো করবে বিজেপি, তবে আয়োজন হবে ছোট! বৈঠক শেষে জানাল নেতৃত্ব
BJP: গত বছরের মতো এ বারও সল্টলেক ইজেডসিসিতে পুজোর আয়োজন করছে বিজেপি। তবে বহরে অতটা বড় নয়।
কলকাতা: গত বছর সল্টলেকের ইস্টার্ন জ়োনাল কালচারাল সেন্টার বা ইজেডসিসিতে (EZCC) দুর্গাপুজো করে একেবারে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। বিরাট আয়োজন। তাবড় সব নেতাদের চারদিন যাতায়াত। এলাহি ব্যাপার। তবে এ বছর প্রথম থেকেই বিজেপির (BJP) পুজো নিয়ে কেমন যেন একটা চাপা স্বর সর্বত্র শোনা যাচ্ছিল। আদৌ পুজো হবে কি না দলের অন্দরেই তার স্পষ্ট বার্তা ছিল না। তবে অবশেষে সে ঢাক ঢাক গুড় গুড় কাটল। পুজো হচ্ছেই। রবিবার সেই পুজো নিয়ে প্রথম বৈঠকটাও সেরে ফেলল পদ্মশিবির।
গত বছরের মতো এ বারও সল্টলেক ইজেডসিসিতে পুজোর আয়োজন করছে বিজেপি। তবে বহরে অতটা বড় নয়। ছোট করেই এবার পুজো সারতে চায় তারা। সোমবারই ইস্টার্ন জ়োনাল কালচারাল সেন্টারে এই পুজোর অনুমতি চেয়ে আবেদন জানাতে চলেছে বিজেপি। দুর্গোৎসবের সমস্ত আয়োজনের মূল দায়িত্বে থাকছেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিছুদিন আগেই বিজেপির এই পুজো নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়। তখনও তিনি বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদেই ছিলেন। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য ছিল, কোনও রাজনৈতিক দল কাজ পুজোর আয়োজন করা নয়। এর পরই মুরলীধর সেন লেনে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল, তবে কি একবারেই আয়োজনের ‘বিসর্জন’ দিল দল।
নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আবার তেমনটায় বিশ্বাসী নন। বরং তিনি দলীয় কর্মীদের আবদারেই সায় দেন। সিদ্ধান্ত নেন পুজো হবে এবং ইজেডসিসিতেই হবে। তবে ছোট করে এবার পুজোর আয়োজন করা হবে। যেহেতু একবার পুজো শুরু হলে পর পর তিনবার পুজো করার একটা রেওয়াজ রয়েছে। সেই বিশ্বাসকে মান্যতা দিয়েই এবারও পুজো করছে বিজেপি। সেই আয়োজনের সমস্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
দলের যুব ও মহিলা সংগঠনের যাঁরা রয়েছেন, একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক সেলের সদস্যরা প্রত্যেকেই এক জোট হয়ে এই পুজো করবেন। রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্য দফতরে পুজোর আয়োজন নিয়ে একটি বৈঠকও করেন প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত।
প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দলের যাঁরা কর্মী আছেন, তাঁরা দুর্গাপুজো করবেন। ভারতীয় জনতা পার্টি দল হিসাবে কোনও পুজো করে না। দলের যাঁরা কর্মী আছেন, যুব মোর্চা, মহিলা মোর্চা, বাকি যে সাতটা মোর্চা রয়েছে এবং কালচারাল সেল সকলে মিলেই একটা পুজো করবে। তাদের পুজোতে সাহায্যকারী হিসাবে আমি থাকব। গত বছর একটা বড় আয়োজন ছিল। তবে নিয়ম যেহেতু একবার পুজো করলে, পর পর তিনবার করা, তাই সেই প্রথা মেনেই বহু কর্মী বলেছিলেন এবার পুজো হোক। তবে কোভিড রয়েছে, বন্যার পরিস্থিতি রয়েছে। তা মেনেই পুজো হবে।”
একই সঙ্গে প্রতাপবাবুর অভিযোগ, “ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীদের তৃণমূলের গুন্ডারা বিভিন্ন জায়গায় মারধর করছে, হত্যা করছে। প্রশাসনও বিভিন্ন জায়গায় কেস দিচ্ছে। সে কারণে এবার আমরা ছোট করে পুজো করছি। কোভিডের সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমাদের সকলে সেখানে যাবেন। শহিদ পরিবারের সদস্যরাও আসবেন। মূলত এটা মিলনক্ষেত্র হিসাবেই এই পুজোর আয়োজন। আমরা চাই গতবারের মতো ইজেডসিসিতেই পুজো করতে। সোমবার এ নিয়ে আবেদন করা হবে।”