বন্ধ ঘরে আয়েশার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় নানা পটেকর! প্রেমিকা মণীশা দরজা খুলেই…

নব্বই দশকের সফল অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অভিনেতা নানা পটেকর। সে সময় তাঁর অভিনয়, ছবি নিয়ে যত না আলোচনা হয়েছে তার চেয়েও বেশি আলোচনা হয়েছে তাঁর নায়িকাদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে। এক সময় বলি অভিনেত্রী মণীশা কৈরলার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি।

বন্ধ ঘরে আয়েশার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় নানা পটেকর! প্রেমিকা মণীশা দরজা খুলেই...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 01, 2025 | 3:48 PM

নব্বই দশকের সফল অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অভিনেতা নানা পটেকর। সে সময় তাঁর অভিনয়, ছবি নিয়ে যত না আলোচনা হয়েছে তার চেয়েও বেশি আলোচনা হয়েছে তাঁর নায়িকাদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে। এক সময় বলি অভিনেত্রী মণীশা কৈরলার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। যা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালের ঘটনা। সে সময় পার্থ ঘোষের পরিচালনায় ‘অগ্নি সাক্ষী’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন মণীশা এবং নানা। মুখ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছিল জ্যাকি শ্রফকে। সেই শুটিংয়ের সেটেই মণীশার সঙ্গে আলাপ নানার। যে বন্ধুত্ব সময়ের সঙ্গে আরও গভীর হয়। প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণে সেই সময় নাকি মানসিক ভাবে খুবই ভেঙে পড়েছিলেন মণীশা। সে সময় বিবেক মুশরানের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙে নায়িকা।

সেই দুর্বল মুহূর্তেই নানাকে পাশে পান মণীশা। পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তখন নানা বিবাহিত। নিজেদের সম্পর্কের কথা সকলের আড়ালেই রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘খামোশি:দ্য মিউজ়িক্যাল’ ছবিতে অভিনয়ের সময় তাঁদের সম্পর্কের কথা বলিপাড়ায় রটে যায়। বিবাহিত নানার সঙ্গে অবিবাহিত মণীশার সম্পর্ক ঘিরে নানা আলোচনা হয়। প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালে নীলকান্তিকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পরেই তাঁরা আলাদা থাকা শুরু করেন। কিন্তু মণীশা আর নানা সম্পর্ক প্রথম থেকে খুব একটা সুখের ছিল না। শোনা যায় তাঁদের মধ্যে খুব অশান্তি হত। অভিনেতার প্রয়োজনাতিরিক্ত অধিকারবোধও সমস্যার কারণ ছিল। সহ অভিনেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য়ে অভিনয় করার উপায় ছিল না।

বলিপাড়ায় ফিসফাস, মণীশার সঙ্গে মতের অমিল হওয়ার জন্য তাঁদের অশান্তি বাড়তে থাকে। অভিনেত্রী যোগাযোগ বন্ধ করে দেন নানার সঙ্গে। স্ত্রী নীলকান্তিকে ডিভোর্স না দেওয়া একটা কারণ ছিল তাঁদের মধ্যে অশান্তি হওয়ার। মণীশার সঙ্গে নানার ঝামেলা যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তখনও আবির্ভাব হয় তৃতীয় ব্যক্তির। অভিনেত্রী আয়েশা ঝুলকরের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন অভিনেতা। শোনা যায়, বন্ধ ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় নানাকে দেখে ফেলেছিলেন মণীশা। যে কারণে, আয়েশাকে অনেক নেতিবাচক মন্তব্য শুনতেও হয়েছিল। আয়েশাকে নায়িকা বলেছিলেন, “আমার প্রেমিকের থেকে দূরে থাক।” যদিও তার পর নানার সঙ্গে সম্পর্ক রাখেননি মণীশা। তারপর অনেক অস্থায়ী সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী।