Sandip Ghosh: সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিল নিয়ম মেনে হয়েছে তো? না হলে তো…; প্রশ্ন ডাক্তারদেরই

Sandip Ghosh: অনেকেই মনে করছেন, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে যদি রেজিস্ট্রেশন বাতিল না করা হয়, সেক্ষেত্রে পরে কখনও সন্দীপ ঘোষ এই সিদ্ধান্তকে চ্য়ালেঞ্জ করতেই পারেন। সেক্ষেত্রে এই নিয়ম না মানা বড় ইস্যু হতে পারে। তাই কোনও নিয়মের ফাঁক চাইছে না জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স।

Sandip Ghosh: সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিল নিয়ম মেনে হয়েছে তো? না হলে তো...; প্রশ্ন ডাক্তারদেরই
সন্দীপ ঘোষ।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2024 | 8:49 PM

কলকাতা: সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল অবৈধ বলে অভিযোগ উঠল। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল অভিযান শেষে এমন‌ই দাবি করল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স। বৃহস্পতিবারের অভিযান শেষে চিকিৎসক সংগঠনের যৌথ মঞ্চের সদস্যরা জানান, ২০২০ সালে অবসর গ্রহণের পর ছ’মাসের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি হয় রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তীর। এরপর তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে আর কোনও নির্দেশিকা আসেনি। কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের মৌখিক নির্দেশে মানস চক্রবর্তী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে গত ৯ অগস্টের পর কাউন্সিলের কোন‌ও বৈঠক হয়নি। সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে গেলে কাউন্সিলের সদস্যদের বৈঠক ডেকে সেই সিদ্ধান্ত দুই তৃতীয়াংশ ভোটে পাশ করানো নিয়ম। সেই নিয়ম না মেনে রেজিস্ট্রেশন বাতিলের বিজ্ঞপ্তির আইনি বৈধতা জনরোষ থেকে বাঁচার চেষ্টা বলেও দাবি করেছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স‌। ইতিমধ্যে সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলকে চিঠি দিয়েছে আইএম‌এ বেঙ্গল।

অনেকেই মনে করছেন, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে যদি রেজিস্ট্রেশন বাতিল না করা হয়, সেক্ষেত্রে পরে কখনও সন্দীপ ঘোষ এই সিদ্ধান্তকে চ্য়ালেঞ্জ করতেই পারেন। সেক্ষেত্রে এই নিয়ম না মানা বড় ইস্যু হতে পারে। তাই কোনও নিয়মের ফাঁক চাইছে না জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স।

এই খবরটিও পড়ুন

সেই সঙ্গে মেডিক্যাল কাউন্সিল কোন আইনে কাউন্সিলের সহ-সভাপতি সুদীপ্ত রায়-সহ অন্য দুই সদস্য তাপস চক্রবর্তী, কৌশিক বিশ্বাসকে মাসিক ৫০ হাজার টাকা ভাতা দিচ্ছেন, তা নিয়েও কাউন্সিলের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে সরব চিকিৎসক সংগঠনগুলোর যৌথমঞ্চ।

চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “বিজ্ঞপ্তি তো বেরিয়েছে। মিটিং কবে হল? কবে পাশ হল? আমাদের সন্দেহ হচ্ছে, একটা ফাঁক রেখে নিয়ম ভেঙে এটা করা হয়েছে কি না। মেডিক্যাল কাউন্সিলের যে নিয়ম, মেডিক্যাল কাউন্সিলের কমিটির মিটিং হবে, সেখানে অনুমোদন দেওয়া হবে। তারপর বিজ্ঞপ্তি বেরোবে। জেলে গেলে এমনিও বোধহয় হতে পারে। তবে এটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। চেয়ারম্যান নেই। চেয়ারম্যান হয় সিজিওতে, নাহলে ওনার বাড়িতে এজেন্সি রেড করছে। কবে মিটিং হল কিছুই তো জানি না।”

অন্যদিকে চিকিৎসক সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, “এটাকে তো বাতিল বলে না। বাধ্য হয়ে বাতিল করা হয়েছে। এরকম একটা অভিযোগে কয়েক রাত জেলে কাটিয়ে ফেলার পর একজনের সরকারি চাকরি বাতিল হওয়া, রেজিস্ট্রেশন বাতিল হওয়ার অর্থ কী? আর কে বাতিল করছে, মেডিক্যাল কাউন্সিলটাই তো এখন জেলের ভিতর থেকে চলবে নাকি বাইরে থেকে পরিচালনা হবে, তা ঠিক হচ্ছে।”