AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sajal Ghosh: এ কী কাণ্ড! ইনিও সজল ঘোষ, উনিও সজল ঘোষ! মহাবিভ্রাটে বরানগর

Sajal Ghosh: তবে যাঁকে নিয়ে এই বিভ্রান্তি, সেই নির্দল সজল ঘোষের বাড়িতে এসে মিলল না তাঁর দেখা। তৃণমূলের পতাকা দেখা গেল তাঁর বাড়িতে। তাহলে কি বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগই যথার্থ? নির্দল সজল ঘোষের ভাই কাজল ঘোষ জানিয়েছেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে তিনি কিছু জানেন না।

Sajal Ghosh: এ কী কাণ্ড! ইনিও সজল ঘোষ, উনিও সজল ঘোষ! মহাবিভ্রাটে বরানগর
দুই সজল ঘোষImage Credit: GFX- TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 15, 2024 | 5:47 PM
Share

কলকাতা: বরানগরে চুটিয়ে প্রচার সারছেন সজল ঘোষ। উপ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এলাকার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন। ভোটের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তার আগে এক নতুন বিভ্রাট! প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছেন দুজন সজল ঘোষ। একজন তো বিজেপর প্রার্থী, অন্যজন কে? এই প্রশ্নই ঘুরছে বরানগরবাসীর মনে। অভিযোগ, দ্বিতীয়জন শুধু নয়, তৃতীয় সজল ঘোষেরও মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা ছিল, সেটা শেষ পর্যন্ত হয়নি।

গত কয়েকটি নির্বাচনে দেখা গিয়েছে তৃণমূল ঘাঁটি তৈরি করে ফেলেছে বরানগরে। বিদায়ী বিধায়ক তাপস রায় তৃণমূল থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর নতুন করে বিধায়ক নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই উপনির্বাচনেই বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন কলকাতা পুরনিগমের কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিএমের তন্ময় ভট্টাচার্য। এরই মধ্যে সজল ঘোষ নামের আরও একজন নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন পেশ করেছেন ওই বিধানসভা কেন্দ্রেই।

তবে শুধু এই নির্দল প্রার্থী সজল ঘোষই নয়, আরও একজন সজল ঘোষ মনোনয়ন পেশ করতে গিয়েছিলেন বলেও দাবি বিজেপির। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ায় তিনি তা করতে পারেননি।

বিজেপি প্রার্থী সজলের দাবি, তৃণমূল হারের ভয় তাঁর নামে একজনকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। যাতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। তবে এভাবে মানুষকে বোকা বানানো যাবে না বলে মনে করেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী বলেন, “ডামি সজলকে শুভেচ্ছা রইল। জনগণের কাছে এই প্রার্থীর কোনও দাম নেই। মানুষকে যারা মূর্খ ভাবে, তাদের প্রতি করুণা হয়। এসব ৩০ বছর আগে চলত। এখন আর চলে না।”

যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেনের দাবি, গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ ভোটে দাঁড়াতে পারেন। তৃণমূল যথেষ্ট শক্তিশালী বরানগরে। তাই বিজেপিকে হারাতে নির্দল প্রার্থীর প্রয়োজন পড়ে না বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।

তবে যাঁকে নিয়ে এই বিভ্রান্তি, সেই নির্দল সজল ঘোষের বাড়িতে এসে মিলল না তাঁর দেখা। তৃণমূলের পতাকা দেখা গেল তাঁর বাড়িতে। তাহলে কি বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগই যথার্থ? নির্দল সজল ঘোষের ভাই কাজল ঘোষ জানিয়েছেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাঁড়ি আলাদা। দাদা কোনও রাজনৈতিক দলে যুক্ত কি না সেটাও জানি না।’ উল্লেখ্য, একই ছবি দেখা গিয়েছে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে। সেখানে বিজেপি প্রার্থীর পাশাপাশি আরও এক প্রার্থীর নাম জগন্নাথ সরকার, যিনি পেশায় সবজি বিক্রেতা।