Biman Bose: কোথায় কোথায় খামতি? দলের ফাঁকফোঁকর চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন বিমান বসু

Biman Bose: বামেদের বিভিন্ন সভা সমিতিতে যখন এমন ভিড় হচ্ছে, সেই সময়ে দলের ফাঁকফোঁকর চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন বিমান বসু।

Biman Bose: কোথায় কোথায় খামতি? দলের ফাঁকফোঁকর চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন বিমান বসু
বিমান বসু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 30, 2022 | 4:34 PM

কলকাতা: সাম্প্রতিককালে বামেদের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যে পরিমাণ ভিড় হচ্ছে তা চোখে পড়ার মতো। বিধানসভায় একটিও আসন নেই। বাম শূন্য বিধানসভা। অথচ, দলের কর্মী-সমর্থকদের যে উদ্যম সাম্প্রতিককালে ধরা পড়েছে, তাতে মুখ খুলেছেন অন্যান্য দলের নেতারাও। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ যেমন কিছুদিন আগেই বাম ছাত্র-যুবদের ‘ইনসাফ’ সভা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ২০১১ সালের পর থেকে বামেদের ‘বৃহত্তম সমাবেশ’। সৌগত রায় আবার বলেছিলেন, ‘বিজেপি থেকে বামেরা শক্তিশালী হওয়া ভাল’। বামেদের বিভিন্ন সভা সমিতিতে যখন এমন ভিড় হচ্ছে, সেই সময়ে দলের ফাঁকফোঁকর চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন বিমান বসু।

দেশহিতৈষী পত্রিকায় এই নিয়ে কলম ধরেছেন বিমান বসু। সেখানে বর্ষীয়ান বাম নেতা দাবি করেছেন, দলের নেতারা শুধুমাত্র বক্তৃতা করছেন আর ফিরে আসছেন। তাতে আমজনতার সম্পর্ক স্থাপিত হয় না বলে মনে করেন বিমান বসু। তাঁর সাফ বক্তব্য, শুধুমাত্র সভা সমিতি করলেই হবে না। নেতৃত্বকে স্থানীয় মানুষের কথা শুনতে হবে। তাঁদের কথা বুঝতে হবে। তবেই আন্দোলন সফল হতে পারে। যে এলাকায় আন্দোলন, সেখানকার কথা শুনতে হবে বলেও মত দিয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।

‛দেশহিতৈষী’-র শারদ সংখ্যায় ‛যে কাজ আমাদের করতেই হবে’ শিরোনামে বিমান বাবু লিখেছেন, “জেলা কমিটির পক্ষ থেকে মধ্যবর্তী কমিটি অর্থাৎ এরিয়া কমিটি ও শাখাকে যেভাবে দেখা প্রয়োজন, তা সবসময় সঠিকভাবে হয়ে উঠছে না। এক্ষেত্রে রাজ্য কমিটি ও জেলা কমিটিকে যৌথভাবে এরিয়া কমিটি ও শাখাকে সক্রিয় ও সচল করার ক্ষেত্রে বিশেষ অভিযানের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। কারণ, বিভিন্ন স্তরের কমিটি সদস্যরা তাদের ওপর যে যে দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে, তা যথাযথভাবে সকলের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তা না হলে, কমিটি সদস্যদের একটা অংশ ধারাবাহিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকেন কী করে?” তিনি স্পষ্টই লিখছেন, “এরিয়া কমিটি কাজ ঠিকঠাক করছে কি না, তা দেখভাল করার দায়িত্ব বর্তায় জেলা কমিটির।”

একইসঙ্গে শারদ সংখ্যায় নিষ্ক্রিয় সদস্যদের সদস্যপদ কীভাবে পুনর্নবিকরণ হচ্ছে, তা-নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। তিনি লিখেছেন, “পার্টি সদস্য পুনর্নবিকরণের সময় পার্টি ও গণসংগঠনের নানা ধরনের কাজ, আন্দোলন-সংগ্রাম ও সংগঠনের কাজে যুক্ত না-থাকলেও সদস্যদের পুনর্নবিকরণ হয় কী করে?”

বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান তাঁর লেখার মধ্যে দিয়ে বারবার উল্লেখ করেছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক কলকাতা প্লেনাম, ২০১৬-র রাজ্য প্লেনামে এবং ২৩তম পার্টি কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ হচ্ছে না।