BJP: ৭০ শতাংশ! নতুন মুখ দিয়েই বাংলা দখল করতে চায় বিজেপি?
BJP: বুধবার ৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা করল বিজেপি। তার মধ্যে শুধু বীরভূমে ফের সভাপতি হলেন ধ্রুব সাহা। বাকি সাতটি সাংগঠনিক জেলাগুলিতে সভাপতি বদল হল।

কলকাতা: দলের সাংগঠনিক নির্বাচন শেষ করার পথে আরও এক কদম এগোল রাজ্য বিজেপি। দলের ৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা করল পদ্ম শিবির। এই আটটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের মধ্যে একজনই শুধু পুরানো মুখ রইলেন। বীরভূম জেলায় বিজেপির সভাপতি পদে বহাল থাকলেন ধ্রুব সাহা। বাকি সাতটা সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বে নতুনদের আনা হল।
আর বছরখানেকের মধ্যেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সাংগঠনিক নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে পদক্ষেপ করে বিজেপি। কিন্তু, সাংগঠনিক নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে সময় লাগায় প্রশ্ন ওঠে। বিভিন্ন জায়গায় থমকে যায় সাংগঠনিক নির্বাচন। এর আগে ২৫টি সাংগঠনিক জেলায় সভাপতির নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। বাকি জেলাগুলিতে কেন নাম ঘোষণা করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন ওঠে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই সাংগঠনিক নির্বাচন থমকে রয়েছে কি না, ওঠে সেই প্রশ্নও। কয়েকদিন আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই আরও কয়েকটি জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা হবে।
বুধবার ৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা করল বিজেপি। তার মধ্যে শুধু বীরভূমে ফের সভাপতি হলেন ধ্রুব সাহা। বাকি সাতটি সাংগঠনিক জেলাগুলিতে সভাপতি বদল হল। বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কোনও বিধায়ক, সাংসদ জেলা সভাপতি পদে থাকবেন না। সেইমতো একাধিক বিধায়ককে সভাপতি পদ থেকে সরানো হল। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি ছিলেন অমরনাথ শাখা। আলিপুরদুয়ার জেলার সভাপতি ছিলেন মনোজ টিগ্গা। তাঁদের পদ থেকে সরানো হল।
এই খবরটিও পড়ুন




আলিপুরদুয়ারে বিজেপির জেলা সভাপতি হলেন মিঠু দাস। বহরমপুর সাংগঠনিক জেলায় মলয় মহাজনকে সভাপতি করা হল। ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব পেলেন সোমা ঘোষ। হাওড়া গ্রামীণের জেলা সভাপতি হলেন দেবাশিস সামন্ত। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হলেন সমিত কুমার মণ্ডল। বিষ্ণপুর সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব পেলেন সুজিত অগাস্তি। আর বোলপুর সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি হলেন শ্যামাপদ মণ্ডল।
এই ৮ জনকে ধরলে ৩৩টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন পুরনো মুখ। এবং জেলা সভাপতি পদে নতুন মুখ ২৪ জন। অর্থাৎ ৭০ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। এর আগে ২৫টি সাংগঠনিক জেলায় যে ১৭ জন নতুন মুখ ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলায় বিধায়ক বিমান ঘোষের জায়গায় জেলা সভাপতি হয়েছেন সুশান্ত বেরা। তমলুক সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব পেয়েছেন মলয় সিংহ। কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় অরূপ কুমার দাসের বদলে জেলা সভাপতি হয়েছেন সোমনাথ রায়। জলপাইগুড়িতে বাপি গোস্বামীর জায়গায় শ্যামল রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মালদহ উত্তরে উজ্জ্বল দত্তর জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন প্রতাপ সিং।
এখনও ১০টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি। ওই জেলাগুলিতে কবে নাম ঘোষণা হবে, সেটাই এখন দেখার। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, ৩৩টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে বেশিরভাগই নতুন মুখ। সেক্ষেত্রে বাকি ১০টি সাংগঠনিক জেলায় নতুন মুখের সম্ভাবনাই বেশি। ছাব্বিশের নির্বাচনে জেলায় জেলায় নতুন মুখদের নেতৃত্বেই কি বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি? শুরু হয়েছে জল্পনা।





