BJP on Gangasagar Mela: ‘মুখ্যমন্ত্রী তখন সংখ্যালঘু সংরক্ষণে ব্যস্ত’, গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় তকমার উদ্যোগ তারাই নিচ্ছে, দাবি বিজেপির
Ganga Sagar Fair: "ইশতাহারে ছিল (একুশের বিধানসভা ভোট), আমরাও প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন করেছি। শীঘ্রই উদ্যোগ নেওয়া হবে''।
কলকাতা: মঙ্গলবার গঙ্গাসাগর সফরে গিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলার তকমা দেওয়ার আবেদন করলেও কেন্দ্র গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেও বঙ্গ বিজেপিও জানাল তারাও চায় গঙ্গাসাগর মেলা জাতীয় মেলা হিসাবে ঘোষিত হোক। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মমতাই। এমনটাই দাবি শমীক ভট্টাচার্যদের। ঠিক কী বলছে বঙ্গ বিজেপি?
এদিন মমতার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ইশতাহারে ছিল (একুশের বিধানসভা ভোট), আমরাও প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন করেছি। শীঘ্রই উদ্যোগ নেওয়া হবে”।
এদিন মমতা অভিযোগ শানিয়েছেন, কেন্দ্র এক পয়সাও দেয় তাঁর কথায়, ‘কুম্ভমেলা যদি ওয়ান হয়, এটা টু পাওয়া উচিত। এটা কুম্ভের মেলা থেকে কোনও অংশে কম নয়।’ তাঁর দাবি, গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলার তকমা দেওয়ার জন্য বহুবার কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার কোনও জবাবই আসেনি!কুম্ভ মেলা সুয়োরানি বলে মন্তব্য করেন তিনি। আর বঙ্গ বিজেপি বলছে, “কেন্দ্র খুব শীঘ্রই এই ঘোষণা করবে। কিন্তু যখন চেষ্টা করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী তখন সংখ্যালঘু সংরক্ষণে ব্যস্ত ছিলেন। রাজনীতি মেরুকরণের লক্ষ্যেই কুম্ভ মেলাকে টানছেন মমতা”।
মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না, বললেন কপিলমুনি আশ্রমের মহান্ত:
এদিন মমতার ভূয়সী প্রশংসা করেন কপিলমুনি আশ্রমের প্রধান জ্ঞানদাস মহান্ত। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী হওয়া থেকে মমতাকে কেউ রুখতে পারবে না। তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই আমরা।” আর মমতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অনুযোগের সুরে বলেন, “এই মেলা কুম্ভ মেলার চেয়ে কোনও কম পবিত্র নয়। কথায় বলে, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। আমরা বহুবার কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছি, এই মেলাকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হোক। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি। একে দ্রুতই জাতীয় মেলা ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করি।”
আর এ নিয়ে বঙ্গ বিজেপির তরফে শমীকের কটাক্ষ, “ভাল কথা। সবাই এক কথা তো বলবেন না। সারা দেশের সাধু নতুন ভারত দেখছেন, ইনি আলাদা বলতেই পারেন। রাজ্য সরকার আশ্রমে অনেক কিছু দেয়”।
তিনি যোগ করেন, “তৃণমূলকে জয়ী করতে যা যা করার কমিশন করছে। শাখা সংগঠন যা করে, নির্বাচন কমিশন তাই করছে। সব ঠিকই করছে, এটাই কাম্য। এটাই করার কথা”।