Dilip Ghosh: শমীকের সঙ্গে বৈঠকের পরই দিল্লি যাচ্ছেন দিলীপ, বড় কিছু অপেক্ষা করছে?
Dilip Ghosh: গত ৩০ এপ্রিল জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিন সস্ত্রীক দিঘা গিয়েছিলেন দিলীপ। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে খোশমেজাজে গল্প করতে দেখা যায় রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতিকে। বিষয়টিকে যে তাঁরা ভালভাবে নেননি, তা বুঝিয়ে দেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। তারপরই দিলীপের সঙ্গে বিজেপির 'দূরত্ব' বাড়ে।

কলকাতা: গত কয়েকদিন রাজ্য রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি। দলবদল করবেন কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ক্রমশ বেড়েছে। তিনিও স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। হেঁয়ালি রেখেই উত্তর দিয়েছেন। অবশেষে মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর অবস্থান কার্যত স্পষ্ট করলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন দিলীপ। আর সেই সাক্ষাতের পরই দিল্লি থেকে ডাক পেলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। সেই ডাক পেয়েই বুধবার সকালে দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন দিলীপ।
এদিন বিকেলে সল্টলেকে বিজেপি দফতরে শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন দিলীপ। শমীকে সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাঁর দলবদলের জল্পনায় কার্যত জল ঢেলে দেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। দলের সঙ্গে দূরত্ব নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “দূরত্বর প্রশ্নই নেই। বিজেপির অফিস থেকে গাড়ি দিয়েছে। আমি যে সিকিউরিটি পাই তাও দলের তরফেই দেওয়া হয়েছে।” একই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “আবেগ দিয়েই পার্টি দাঁড়া করিয়েছি। ১৫০ কর্মী প্রাণ দিয়েছেন। বাংলার লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষের মনে আগুন আছে। নিভতে দেব না।”
দিলীপকে ঘিরে জল্পনার শুরু মাস দুয়েক আগে। গত ৩০ এপ্রিল জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিন সস্ত্রীক দিঘা গিয়েছিলেন দিলীপ। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে খোশমেজাজে গল্প করতে দেখা যায় রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতিকে। বিষয়টিকে যে তাঁরা ভালভাবে নেননি, তা বুঝিয়ে দেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। তারপরই দিলীপের সঙ্গে বিজেপির ‘দূরত্ব’ বাড়ে। এমনকি, রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি শমীকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও তাঁকে দেখা যায়নি।
যদিও দিলীপের দলবদলের জল্পনাকে খারিজ করে দেন শমীক। তিনি জানিয়ে দেন, দিলীপ বিজেপিতেই ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। তবুও জল্পনা থামেনি। আর এদিন শমীকের সঙ্গে বৈঠকের পর দিলীপ বললেন, “মার্কেটের যার দাম আছে তাঁকে নিয়ে জল্পনা হয়। যাঁদের দাম নেই রাস্তায় পড়ে আছে। দিলীপের দাম আছে। দাম থাকবে কারণ, দিলীপ ঘোষের মধ্যে কোনও ভেজাল নেই।” ছাব্বিশে রাজ্যে পালাবদলের ডাকও দিলেন তিনি।
আর শমীকের সঙ্গে বৈঠকের পরই দিল্লি থেকে ডাক পেলেন দিলীপ। আগামিকাল সকালে দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন তিনি। বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশলের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এখন দেখার, ওই বৈঠকের পর নতুন কোনও দায়িত্ব পান কি না রাজ্য বিজেপির সবচেয়ে সফলতম সভাপতি।

