কলকাতা: ৪ কোটিরও ডোজ় (Corona Vaccine) সংরক্ষিত রয়েছে বাংলায়! রাজ্যে ভ্যাক্সিন সঙ্কটের মধ্যেই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই এখন রাজ্য জুড়ে চলছে ভ্যাকসিন সঙ্কট। প্রথম ডোজ় মিললেও, অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ় দিতে পারছেন না। রেল হাসপাতালগুলিতেও ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যের একাধিক রেল হাসপাতালে ভ্যাকসিনের অভাব রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এরই মধ্যে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রবিবার সকালে সুভাষ সরোবরে প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, ” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন বলেছেন আমি ভ্যাকসিন কিনে জনসাধারণকে দেব। কেন্দ্রীয় সরকার যে সংস্থা থেকে ভ্যাকসিন ক্রয় করছে সেই সংস্থা থেকে রাজ্য ক্রয় করতে পারে তাহলে তিনি কিনে দিন।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “শুধু ডায়লগবাজি, শুধু মিথ্যা কথা বলা। কেন্দ্রীয় সরকার যে ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে তাই লোককে দিতে পারছেন না। ৪ কোটির বেশি ভ্যাকসিন রিজার্ভ আছে পশ্চিমবাংলায়।”
দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। বাংলায় করোনার ভ্যাকসিনের জোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মাস খানেক আগে বাধ্য হয়েই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়াকে শ্লথ করে দেওয়া হয়। তবে গোটা বিষয়টি কেন্দ্রকে জানানো হয়। সে সময় রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্র থেকে টিকা পাঠানো হয়।
তবে বর্তমানে আবার নতুন করে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে দেখা যাচ্ছে ভ্যাক্সিন নিতে গিয়ে মারপিট, সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। একাধিক জেলা থেকে এই খবর আসে। ব্যতিক্রম নয় কলকাতাও। শুক্রবারই ক্ষুদিরামপল্লি আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়দের দাবি, ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখলেও শেষে অস্বীকার করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এতেই উত্তেজনা ছড়ায়। এরপর স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ায় জনতা।
আরও পড়ুন: রেমডেসিভির প্রয়োগ নিয়ে নতুন নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের, কী নিয়ম রয়েছে সেখানে?
গোটা আবহেই মধ্যে দিলীপ ঘোষের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত এই মন্তব্য যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দিলীপ ঘোষ অক্সিজেন সাপ্লাই নিয়ে আরও বলেন, “টিএমসির অক্সিজেন সাপ্লাই কম আছে আমাদের নয়।” বিশ্লেষকরা বলছেন. যদিও এটি নেহাতই তাঁর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ।