AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bratya Basu Slams BJP: রাজ্যের প্রায় ৪ হাজার স্কুলে ভর্তি ০, কেন্দ্রের রিপোর্ট দেখে কী বললেন ব্রাত্য?

Zero Enrolment Schools in Bengal: কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে ৭ হাজার ৯৯৩টি স্কুলে গত এক বছরে অর্থাৎ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়া ভর্তির সংখ্যা শূন্য। তবে এই স্কুলগুলিতেই বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ২০ হাজার শিক্ষক। কেন্দ্র প্রদত্ত এই রিপোর্টে ভর্তিশূন্য স্কুলের নিরিখে 'এগিয়ে বাংলা'।

Bratya Basu Slams BJP: রাজ্যের প্রায় ৪ হাজার স্কুলে ভর্তি ০, কেন্দ্রের রিপোর্ট দেখে কী বললেন ব্রাত্য?
কী যুক্তি দিলেন?Image Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2025 | 6:35 AM
Share

কলকাতা: বাংলার হাজার হাজার স্কুলে গত এক বছরে পড়ুয়া ভর্তির সংখ্যা শূন্য। সম্প্রতি এমনই একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। সেই রিপোর্টে নাম ছিল বিজেপি শাসিত রাজ্য়েরও। তবে ভর্তিশূন্য স্কুলের নিরিখে বাংলা ছিল শীর্ষে। কেন্দ্রের এই সমীক্ষাকেই এবার ‘চিরন্তন মিথ্য়া’ বলে দাগালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

কী রয়েছে রিপোর্টে?

কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে ৭ হাজার ৯৯৩টি স্কুলে গত এক বছরে অর্থাৎ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়া ভর্তির সংখ্যা শূন্য। তবে এই স্কুলগুলিতেই বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ২০ হাজার শিক্ষক। কেন্দ্র প্রদত্ত এই রিপোর্টে ভর্তিশূন্য স্কুলের নিরিখে ‘এগিয়ে বাংলা’। নয়াদিল্লি বলছে, গত এক বছরে বাংলায় ৩ হাজার ৮১২টি স্কুলে কোনও পড়ুয়াই ভর্তি হননি। এদিকে সেই স্কুলগুলিতে মোট শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ১৭ হাজার ৯৬৫ জন। বাংলার পরেই এই তালিকায় নাম রয়েছে তেলেঙ্গানা ও মধ্য প্রদেশের। নাম রয়েছে উত্তর প্রদেশেরও। তবে সেখানে এই রকম স্কুলের সংখ্যা যোগীরাজ্যে নিমিত্ত মাত্র।

কী বলছেন ব্রাত্য?

বাংলার শিক্ষামন্ত্রীর মতে, বিজেপি চিরন্তন মিথ্যাবাদী। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলায় হাজার হাজার নতুন স্কুল তৈরি ও পুরনো পরিকাঠামোর স্কুলগুলিকে সংস্কার করেছে রাজ্য সরকার। সমাজের সর্বস্তরে শিক্ষাকে সুনিশ্চিত করতে এনেছে একাধিক প্রকল্প, দিয়েছে স্কলারশিপ। ব্রাত্যর কথায়, ‘শুধুমাত্র শেষ শিক্ষাবর্ষেই সাড়ে পাঁচ লক্ষের অধিক পড়ুয়াকে স্কলারশিপ প্রদান করেছে রাজ্য সরকার।’

ব্রাত্যর আরও যুক্তি, ‘UDISE কোডগুলি বেসরকারি ও সরকারি উভয় স্কুলের জন্য বরাদ্দ। সুতরাং, এই ভর্তিশূন্য স্কুলের দায় শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের নয়। পাশাপাশি, আজ ভর্তি হয়নি মানে আগামীতেও হবে না এমনটা নয়। যে সকল স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্য়া কমেছে। সেখান থেকে শিক্ষক ও বাকি পড়ে থাকা পড়ুয়াদের নিকটবর্তী অন্য স্কুলে স্থানান্তর করা হয়েছে।’

কী বলছে বিজেপি?

কেন্দ্রের ভর্তিশূন্য় স্কুলের রিপোর্টকে তুলে ধরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছিল বঙ্গ বিজেপিও। দলের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য নিজের সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘এটাই কি উন্নয়নের মডেল? যেখানে স্কুল আছে, শিক্ষক আছে, কিন্তু পড়ুয়া নেই। যেখানে শিক্ষা নয়, শুধুই চলছে দুর্নীতির পাঠ। সময় এসেছে পরিবর্তনের।’