MAKAUT বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য বদল ঘিরে জট আদালতে, রাজ্যের বিজ্ঞপ্তিতে এক সপ্তাহের স্থগিতাদেশ

Calcutta High Court: বিচারপতি কৌশিক চন্দ এক সপ্তাহের জন্য রাজ্যের জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আগামিকাল (মঙ্গলবার) দুপুর ১২ টার মধ্যে রাজ্য সরকারকে নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

MAKAUT বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য বদল ঘিরে জট আদালতে, রাজ্যের বিজ্ঞপ্তিতে এক সপ্তাহের স্থগিতাদেশ
কলকাতা হাইকোর্ট।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 01, 2022 | 6:49 PM

কলকাতা : মৌলানা আবুল কালাম আজাদ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বদল সংক্রান্ত ইস্যু এবার গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে বেআইনিভাবে সৈকত মৈত্রকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন সৈকত মৈত্র। মামলা ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। সোমবার শুনানি শেষে বিচারপতি কৌশিক চন্দ এক সপ্তাহের জন্য রাজ্যের জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আগামিকাল (মঙ্গলবার) দুপুর ১২ টার মধ্যে রাজ্য সরকারকে নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

জটিলতা কোথায়?

প্রসঙ্গত, এর আগে চার বছর মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন সৈকত মৈত্র। প্রথম দফায় মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত বছরে ফের একবার সৈকত মৈত্রকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ করা হয় আদালতের তরফে। কিন্তু দ্বিতীয় বার পুনর্নিযুক্ত হওয়ার পর হঠাৎই তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিকে রাজ্যের তরফে সৈকত মৈত্রর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে সরিয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সৈকত মৈত্র। তাঁর অভিযোগ, বেআইনিভাবে তাঁকে সরিয়ে নতুন উপাচার্য আনা হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রীর ব্যাখ্যা

তবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই বিষয়ে সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, “ওনার মেয়াদ ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাড়ানো হয়েছিল। ২০২২ সালের ২৬ জুলাইয়ের পর এই নির্দেশিকার উপর আর কোনও মান্যতা থাকার কথা নয়। ফলে ম্যাকাউটের উপাচার্যের মেয়াদ যে বাড়ানো হয়েছিল, ২৬ জুলাইয়ের পর থেকে তিনি আর উপাচার্য থাকতে পারেন না। আমরা যা করব আইন মোতাবেক করব। উনি আদালতে গিয়েছেন, আমরা আমাদের বক্তব্য সেখানে পেশ করব।” নিজের বক্তব্যের সমর্থনে, ম্যাকাউট আইন, ২০০০- একটি ধারার কথাও তুলে ধরেন ব্রাত্য বাবু।