কলকাতা: স্কুলে গ্রুপ ডি নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই স্বস্তি পেয়েছে রাজ্য। সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে স্বস্তি পেলেন সেই সমস্ত গ্রুপ ডি কর্মী, যাঁরা ইতিমধ্যেই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। মাসের মাইনেও পান তাঁরা। কারণ, এর আগে আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, যাঁদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন আছে, তাঁদের বেতন বন্ধ থাকবে আপাতত।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সিঙ্গল বেঞ্চ ২৫ জন গ্রুপ ডি কর্মীর বেতন বন্ধ করে দেয়। আরও ৫৪২ জনের বেতন বন্ধ হবে কি না তা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দেখার নির্দেশ দেয়। ওই সমস্ত কর্মীদের আইনজীবী সোমবার আদালতে বেতন চালু রাখার আর্জি জানান। সে আর্জিতেও সায় দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
সরকারি আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বৈশ্য বলেন, “যাদের মাইনে বন্ধ করে দিয়েছিল, আদালত বলেছে ওই মাইনে দিয়ে দিতে। আপাতত বেতনপ্রদান চলবে। ২৫ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। মাইনে তাঁরাও পাবেন।”
২০১৬ সালে রাজ্যে গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেই মতো ১৩ হাজার নিয়োগ হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে সেই গ্রুপ ডি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। তারপরেও একাধিক নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশের কথা জানা যায়। সেই তথ্য হাইকোর্টের হাতে আসে।
কী ভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ নিয়োগ তালিকা থেকে নিয়োগ তারই কৈফিয়ত চায় হাইকোর্ট। মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। একই সঙ্গে ২৫ জনের বেতন বন্ধের কথাও বলা হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। এরপর প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও নিয়োগ করার অভিযোগে আরও ৫৪২ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও সেক্ষেত্রে বলা হয়েছিল কমিশন খতিয়ে দেখে তারপরই বেতন বন্ধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
এই সমস্ত নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়। সোমবার আদালত বলে গ্রুপ ডি ভুয়ো নিয়োগের মামলায় সিট বা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) গঠন করে তদন্ত এগোবে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে এই সিট গঠন করে তদন্ত হবে। থাকবেন মোট চার সদস্য।
এর আগে এই মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাদের আর্জি ছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেন? প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে এই তদন্ত এগোক। সোমবার সিবিআই অনুসন্ধান সংক্রান্ত নির্দেশকে খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “তদন্ত করে দেখা হবে এখানে কোনও ভুল হয়েছে নাকি এটা ইচ্ছাকৃত ঘটনা। আমাদের অভিযোগ তো টাকা দিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে। সমস্ত বিষয় তদন্ত করে বেরোবে। আমাদের বক্তব্য এটা একটা বিরাট দুর্নীতি।”
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: আজ কর্ণজোড়ায় দুই দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে বসছেন মমতা
কলকাতা: স্কুলে গ্রুপ ডি নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই স্বস্তি পেয়েছে রাজ্য। সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে স্বস্তি পেলেন সেই সমস্ত গ্রুপ ডি কর্মী, যাঁরা ইতিমধ্যেই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। মাসের মাইনেও পান তাঁরা। কারণ, এর আগে আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, যাঁদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন আছে, তাঁদের বেতন বন্ধ থাকবে আপাতত।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সিঙ্গল বেঞ্চ ২৫ জন গ্রুপ ডি কর্মীর বেতন বন্ধ করে দেয়। আরও ৫৪২ জনের বেতন বন্ধ হবে কি না তা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দেখার নির্দেশ দেয়। ওই সমস্ত কর্মীদের আইনজীবী সোমবার আদালতে বেতন চালু রাখার আর্জি জানান। সে আর্জিতেও সায় দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
সরকারি আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বৈশ্য বলেন, “যাদের মাইনে বন্ধ করে দিয়েছিল, আদালত বলেছে ওই মাইনে দিয়ে দিতে। আপাতত বেতনপ্রদান চলবে। ২৫ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। মাইনে তাঁরাও পাবেন।”
২০১৬ সালে রাজ্যে গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেই মতো ১৩ হাজার নিয়োগ হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে সেই গ্রুপ ডি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। তারপরেও একাধিক নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশের কথা জানা যায়। সেই তথ্য হাইকোর্টের হাতে আসে।
কী ভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ নিয়োগ তালিকা থেকে নিয়োগ তারই কৈফিয়ত চায় হাইকোর্ট। মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। একই সঙ্গে ২৫ জনের বেতন বন্ধের কথাও বলা হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। এরপর প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও নিয়োগ করার অভিযোগে আরও ৫৪২ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও সেক্ষেত্রে বলা হয়েছিল কমিশন খতিয়ে দেখে তারপরই বেতন বন্ধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
এই সমস্ত নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়। সোমবার আদালত বলে গ্রুপ ডি ভুয়ো নিয়োগের মামলায় সিট বা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) গঠন করে তদন্ত এগোবে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে এই সিট গঠন করে তদন্ত হবে। থাকবেন মোট চার সদস্য।
এর আগে এই মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাদের আর্জি ছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেন? প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে এই তদন্ত এগোক। সোমবার সিবিআই অনুসন্ধান সংক্রান্ত নির্দেশকে খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “তদন্ত করে দেখা হবে এখানে কোনও ভুল হয়েছে নাকি এটা ইচ্ছাকৃত ঘটনা। আমাদের অভিযোগ তো টাকা দিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে। সমস্ত বিষয় তদন্ত করে বেরোবে। আমাদের বক্তব্য এটা একটা বিরাট দুর্নীতি।”
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: আজ কর্ণজোড়ায় দুই দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে বসছেন মমতা