Calcutta High Court: ‘প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা আছে দেবজ্যোতির’, মামলাকারীকেই জরিমানা করল হাইকোর্ট

Calcutta High Court: আদালতের নির্দেশ মতো শুক্রবার সশরীরে হাজিরা দেন ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি।

Calcutta High Court: 'প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা আছে দেবজ্যোতির', মামলাকারীকেই জরিমানা করল হাইকোর্ট
দেবজ্যোতি ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 16, 2022 | 5:23 PM

কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি করলেও যোগ্যতা নেই, এমনই অভিযোগ উঠেছিল ভাটপাড়া পুরসভা ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় দেবজ্যোতি ঘোষকে তলব করা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলায় স্বস্তি পেলেন তিনি। নথি খতিয়ে দেখার পর দেবজ্যোতি ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালত জানিয়েছে, দেবজ্যোতির প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা আছে।

দেবজ্যোতি ঘোষ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে মামলাকারীকে জরিমানা হিসেবে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন বছরে জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। হাইকোর্টে লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির তহবিলে টাকা জমা দিতে হবে।

আদালতের নির্দেশ মতো শুক্রবার সশরীরে হাজিরা দেন ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। দেবজ্যোতির দেওয়া সমস্ত তথ্য দেখে সন্তুষ্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পর্যবেক্ষণ, দেবজ্যোতিকে মামলায় যুক্ত করার জন্য মামলকারী কোয়েনা দে যে তথ্য দিয়েছিলেন, তা যথেষ্ট নয়। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, নিজে নিয়োগ না পেলে অন্য যে কাউকে অভিযুক্ত করা উচিত নয়।

উল্লেখ্য, কোয়েনা দে নামে এক মহিলা আদালতে দেবজ্যোতির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, তিনি দাবি করেছিলেন অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি করছেন দেবজ্যোতি। তাঁর পাসপোর্টে অষ্টম শ্রেণি পাশ করার কথা রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তাঁর আরও প্রশ্ন ছিল, কীভাবে একই সঙ্গে দুটি সরকারি পদে থাকতে পারেন দেবজ্যোতি?

যদিও প্রথম থেকেই সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন দেবজ্যোতি ঘোষ। তিনি জানিয়েছিলেন, যথাযথ যোগ্যতা রয়েছে তাঁর। সেই সঙ্গে তিনি এও দাবি করেছিলেন, দু জায়গা থেকে বেতন পাওয়ার অভিযোগ ভুল, কারণ শিক্ষক হিসেবে বেতন পেলেও ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ভাতা পান তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের প্রাথমিকের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। সে ক্ষেত্রেও আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।