Calcutta High Court: আইনজীবীদের এনরোলমেন্ট ফর্মে সত্যিই কি ‘পিতৃতান্ত্রিক ধারা’? জবাব তলব হাইকোর্টের

Advocate Enrollment Form: মামলাকারী দাবি, বর্তমানে যে অ্যাডভোকেট এনরোলমেন্ট ফর্মটি রয়েছে, সেটিতে মায়ের নাম উল্লেখ করার জায়গা নেই। ফলে যাঁদের সিঙ্গল মাদার রয়েছেন, তাঁদের প্রতি এটি একটি চূড়ান্ত বৈষম্যমূলক এবং তাঁদের মৌলিক অধিকারীর বিরোধী।

Calcutta High Court: আইনজীবীদের এনরোলমেন্ট ফর্মে সত্যিই কি 'পিতৃতান্ত্রিক ধারা'? জবাব তলব হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 26, 2022 | 2:44 PM

কলকাতা: বর্তমানে যে অ্যাডভোকেট এনরোলমেন্ট ফর্মটি রয়েছে, সেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বাবার নাম এবং স্বামীর নাম উল্লেখ করার জায়গা রয়েছে। কিন্তু মায়ের নাম উল্লে করার কোনও জায়গা নেই। এই ব্যবস্থার বদল করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি মামলা করা হয়েছিল। দাবি জানানো হয়েছিল, যাতে অ্যাডভোকেট এনরোলমেন্ট ফর্মে মায়ের নামও উল্লেখ করার জায়গা থাকে। সেই মামলায় এবার বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এবং রাজ্যের বার কাউন্সিলের বক্তব্য জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।

মামলাকারী দাবি, বর্তমানে যে অ্যাডভোকেট এনরোলমেন্ট ফর্মটি রয়েছে, সেটিতে মায়ের নাম উল্লেখ করার জায়গা নেই। ফলে যাঁদের সিঙ্গল মাদার রয়েছেন, তাঁদের প্রতি এটি একটি চূড়ান্ত বৈষম্যমূলক এবং তাঁদের মৌলিক অধিকারীর বিরোধী। মামলাকারী মৃণালিনী মজুমদারের বক্তব্য, একজন সিঙ্গল মাদার-এর সন্তানও দেশের নাগরিক এবং তাঁর মৌলিক অধিকার কেউ লঙ্ঘণ করতে পারে না। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলছিল। মামলায় বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এবং রাজ্যের বার কাউন্সিলের থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে বক্তব্য জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

মামলাকারী মৃণালিনী মজুমদারের বক্তব্য, রাজ্য বার কাউন্সিল কেবলমাত্র পিতা এবং স্বামীর নামের তথ্য চেয়ে আজকের দিনে দাঁড়িয়েও পিতৃতন্ত্রের একটি ধারাকে ফুটিয়ে তুলছে। তাঁর দাবি, এটির মাধ্যমে এটিই ইঙ্গিত করে, যে একজন অ্যাডভোকেট হিসাবে নিজেকে নথিভুক্ত করার একমাত্র মাপকাঠি হল তাঁর বাবার অভিভাবকত্ব বা তাঁর বৈবাহিক অবস্থা। মামলাকারীর দাবি, অ্যাডভোকেট এনরোলমেন্ট ফর্মে মায়ের নাম উল্লেখ করার জায়গা না রাখাটি ভারতীয় সংবিধানের ১৪, ১৯(জি) এবং ২১ নং ধারা অনুযায়ী মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এই নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এবং রাজ্যের বার কাউন্সিলের থেকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে জবাব তলব করেছেন।