RG Kar case: ধর্ষণ-খুনের আগেই কি ষড়যন্ত্র? আরজি কর কাণ্ডে আদালতে বড় দাবি CBI-র
RG Kar case: বিচারক সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বলেন, "আপনারা ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন। খুন ও ধর্ষণে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, নাকি প্রমাণ লোপাটে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে? আপনাদের কাছে কোনও তথ্য আছে কি যার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে খুন ও ধর্ষণে যুক্ত?"
কলকাতা: আরজি করে তিলোত্তমা-র নৃশংস পরিণতির আগেই কি ষড়যন্ত্র হয়েছে? মঙ্গলবার শিয়ালদহ আদালতে মামলার শুনানিতে উঠল প্রশ্ন। আরজি কর কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে আরও তিনদিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে সিবিআই। তখনই উঠে আসে ৯ অগস্ট ঘটনার আগে ষড়যন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন।
এদিন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, এই তিনদিনে ধৃতদের ফোনের কল ডিটেইল রেকর্ড ও সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হয়েছে। আরও সন্দেহজনক মোবাইল নম্বর পাওয়া গিয়েছে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে তাই জেরা করতে চায় সিবিআই। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “এই দুজন ছাড়াও আরও অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে ফোনে। এরা সহযোগিতা করেছেন না। তাই আরও ৩ দিন হেফাজতে চাইছি।”
তখন অভিজিতের আইনজীবী বলেন, “উনি তদন্তকারী অফিসার ছিলেন না। সহযোগী ছিলেন। তদন্তে যুক্ত থাকা সরকারি অফিসারকে পদ্ধতি মেনে গ্রেফতার করা হয়নি।” টালা থানার প্রাক্তন ওসির আইনজীবী আরও বলেন, “সিবিআই বলছে এই ৩ দিনে আমার মক্কেলের ফোন নিয়েছে ও সিসিটিভি সংগ্রহ করেছে। এটা নিয়ে জেরা করার জন্য গ্রেফতার করার কী প্রয়োজন? আমার মক্কেল তো ৯ বার হাজিরা দিয়েছেন।”
বিচারক শুভাশিস দে সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বলেন, “আপনারা ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন। খুন ও ধর্ষণে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, নাকি প্রমাণ লোপাটে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে? আপনাদের কাছে কোনও তথ্য আছে কি যার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে খুন ও ধর্ষণে যুক্ত?”
বিচারকের প্রশ্নে CBI অফিসার বলেন, “আমরা সবদিকই খতিয়ে দেখছি। তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।” বিচারক তখন বলেন, “ধর্ষণ ও খুনের আগেই যদি এর ষড়যন্ত্র করে থাকে, তাহলে সেটা সিরিয়াস কেস। এটার আলাদা FIR করা উচিত।” সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “আমরা এই দিকটা দেখছি। হতে পারে এই ঘটনার আগে কোনও ষড়যন্ত্র হয়েছে। তাই হেফাজতে চাইছি।” তারপরই সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, “সন্দীপ ইচ্ছাকৃতভাবে এফআইআর করতে দেননি। কিন্তু তাই বলে ওসি এফআইআর করবেন না কেন? কে আটকেছে? এটা ষড়যন্ত্র।” সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও জানান, তিলোত্তমার বাবা-মা সিবিআই-র কাছে ওসি ও সন্দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। সাধারণ মানুষের থেকেও অভিযোগ এসেছে। সেই দিকগুলি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সন্দীপ ও অভিজিৎকে তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিকে, এদিন শুনানি শুরুর আগে শিয়ালদহ আদালতের আইনজীবীরা অভিজিৎ ও সন্দীপের আইনজীবীদের অনুরোধ করেছিলেন, তাঁরা যেন দুই ধৃতের জামিনের আবেদন না জানান। তাঁরা বলেন, “এটা জঘন্য অপরাধ। রাজ্যের মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। তাই, আমরা শিয়ালদহ আদালতের আইনজীবীরা অনুরোধ করছি যে আইনজীবীরা এসেছেন তাঁরা যেন জামিন না চান।