Lakshmir Bhandar: বদলে গেল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নিয়ম, নয়া নির্দেশ নবান্নের

Lakshmir Bhandar: অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যিনি আদবেদনকারী, তাঁঁর হাতে টাকা যাচ্ছে না। তাই এই নিয়ম বদল বলে জানা যাচ্ছে।

Lakshmir Bhandar: বদলে গেল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নিয়ম, নয়া নির্দেশ নবান্নের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 27, 2022 | 11:34 PM

কলকাতা : লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নিয়মে এল বড়সড় বদল। রাজ্য সরকারের তরফে নতুন নিয়ম সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এবার থেকে সরকারি এই প্রকল্পের আবেদনকারীদের ব্যাঙ্কের সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার এই নয়া নির্দেশের কথা জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে।

এ দিন জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। দুয়ারে সরকার নিয়ে হয় সেই বৈঠক। বৈঠকের পরই মুখ্যসচিব নতুন নিয়ম সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছেন বলেও নবান্ন সূত্রে খবর।

প্রসঙ্গত গত বছর থেকে শুরু হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। আর সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলেও আবেদন করা যেত। কিন্তু এবার আর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলেও আবেদন করা যাবে না। শুধুমাত্র সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। তবেই আবেদন করা যাবে। জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট নিয়ে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার জন্যই এই নির্দেশ বলে নবান্ন সূত্রে খবর। জানা যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছিল, জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলে মূল আবেদনকারী টাকা নেওয়া আগে পরিবারের অন্য কেউ সেই টাকা তুলে নিচ্ছে।

আধার সংযুক্তিকরণের ওপরেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। খাদ্যসাথী বা স্বাস্থ্যসাথী সহ বিভিন্ন প্রকল্প গুলিতে আধার সংযুক্তিকরণ আরও বাড়াতে হবে, এই দিনের বৈঠকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব। পাড়ায় সমাধানের ক্যাম্পগুলো আরও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নামক প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে কোনও মহিলাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তবে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড এবং অন্য জাতিভুক্ত হলে সেই জাতির শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। ২৫ থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। মূলত তপশিলি জাতি-উপজাতি মহিলাদের জন্য মাসে ১০০০ টাকা ও সাধারণ মহিলাদের জন্য মাসে ৫০০ টাকা করে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

গত বছরের অক্টোবরে দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, এক কোটির গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে টাকা। অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রকল্পে রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ১০৮২ কোটি টাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বলেছিলেন, এই প্রকল্পে বাড়ির মেয়েদের একেবারে নিজেদের রোজগার। এই টাকার জন্য কারও কাছে হাত পাতার দরকার নেই। মহিলাদের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েই এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন তিনি। আর এবার সেই মহিলাদের কথা মাথায় রেখেই বদল করা হচ্ছে প্রকল্পের নিয়মে।

আরও পড়ুন : ভর সন্ধেয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধুন্ধুমার, আত্মহত্যার হুমকি চাকরিপ্রার্থীদের

আরও পড়ুন : Mamata on Aparupa: ‘তোমাকে ফোনে পাওয়া যায় না…’, অপরূপাকে ধমক মমতার