সল্টলেকের বিএ ব্লকের গেস্টহাউজে বিস্ফোরণ, আহত এক

প্রতিবেশীদের বয়ান অনুযায়ী, ওই গেস্ট হাউজটিতে ওয়ো সার্ভিস ছিল। সেখানেই আহত ওই মহিলা একটি রুম বুক করে একাই থাকতে শুরু করেন। প্রতিবেশীদের অনুমান আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্যেই ওই মহিলা অনলাইনের মাধ্যমে ওই গেস্ট হাউজের একটি রুম বুক করেন। এরপরই এদিন ভয়ানক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বিএ ব্লকের ১৪ নম্বর বাড়ির ওই গেস্ট হাউজটি।

সল্টলেকের বিএ ব্লকের গেস্টহাউজে বিস্ফোরণ, আহত এক
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 27, 2022 | 11:16 PM

কলকাতা: বৃহস্পতিবার রাতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল সল্টলেকের বিএ ব্লকে। জানা গিয়েছে লবণহ্রদের বিএ ব্লক অঞ্চলের একটি গেস্ট হাউজের চারতলায় থেকে হঠাতই বিকট আওয়াজ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। আওয়াজ পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তারা। এরপর চারতলার একটি ঘরের দরজা ভেঙে ঝলসে যাওয়া এক মহিলাকে উদ্ধার করেন তারা।

বৃহস্পতিবার রাতে সল্টলেক অঞ্চলের বিএ ব্লকে অবস্থিত একটি গেস্ট হাউজের চারতলায় বিস্ফোরণের আওয়াজ পেয়ে চমকে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই তারা ছুটে যান বিএ ব্লকের ১৪ নম্বর বাড়ির ওই গেস্ট হাউজে ছুটে যান তারা। চারতলার দরজা বন্ধ থাকায় এবং ভেতর থেকে মহিলার গলার আওয়াজ পেয়ে প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে এক ঝলসে যাওয়া মহিলাকে উদ্ধার করেন। ওই মহিলাকে স্থানীয় বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিধান নগর উত্তর থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। এই বিস্ফোরণ কীভাবে ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

তবে প্রতিবেশীদের বয়ান অনুযায়ী, ওই গেস্ট হাউজটিতে ওয়ো সার্ভিস ছিল। সেখানেই আহত ওই মহিলা একটি রুম বুক করে একাই থাকতে শুরু করেন। প্রতিবেশীদের অনুমান আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্যেই ওই মহিলা অনলাইনের মাধ্যমে ওই গেস্ট হাউজের একটি রুম বুক করেন। এরপরই এদিন ভয়ানক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বিএ ব্লকের ১৪ নম্বর বাড়ির ওই গেস্ট হাউজটি। অন্যদিকে পুলিশের সন্দেহ বিস্ফোরণ হয়নি। তাঁদের অনুমান, ওই মহিলা আত্মহত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে ওই গেস্ট হাউজে আসেন। এবং গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। আগুন লাগার পর মহিলা পড়ে গেলে সেই শব্দকেই ওই গেস্ট হাউজের নীচের তলার বাসিন্দারা বিস্ফোরণের শব্দ বলে মনে করেছেন। আপাতত ওই মহিলা কীভাবে কেরোসিন নিয়ে গেস্ট হাউজে এলেন, এবং কেনইবা তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন সেই বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। 

অন্যদিকে, ওই বাড়ির তিনতলার এক বাসিন্দা ঘটনাস্থলে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। সুস্মিতা গিরি নামে ওই বাসিন্দা জানান, ‘আমরা তিনতলাতে থাকি, চারতলায় গেস্ট হাউজটি রয়েছে। রাত ৯টা নাগাদ আমরা চারতলায় একটি বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পাই। আমরা গিয়ে দেখি একজন ভদ্রমহিলা রীতিমতো ঝলসে গিয়েছেন। আমরা পুলিশকে ফোন করি। পুলিশ এসে ওনাকে উদ্ধার করে। আমরা পুলিশকে বলি উনি বেঁচে আছেন ওনাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। ওরা নিয়ে যেতেই চাইছিলেন না,তারপর আমরা চিৎকার করায় ভদ্রমহিলাকে নিজেদের গাড়িতে তোলে পুলিশ। এরপর আমাদের ধাক্কা মেরে বলে আপনারাও চলুন। আমি অপরিচিত কেউ নই, এই বাড়িরই তিনতলায় থাকি, গেস্ট হাউজের কোনও লোকজন নেই, কিন্তু আমাকে কেনো টেনে নিয়ে যাওয়া হবে এভাবে। আমাদের সঙ্গে পুলিশ রীতিমতো ধস্তাধস্তি আর বাজে আচরণ করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কেন। ওই ভদ্রমহিলা কতদিন গেস্ট হাউজে আছেন আমরা কিছুই জানি না। সেটা গেস্ট হাউজ থেকেই জানা যাবে। এখন জানি না ওই মহিলা বেঁচে আছেন কি না।’

আরও পড়ুন: Coronavirus: এই সব বদঅভ্যাসের জেরেই কিন্তু পড়তে পারেন কোভিড সংক্রমণের মুখে…