Covid Vaccine: টিকা বিভ্রাট বুস্টারে! প্রথম দু’ ডোজ় কোভ্যাকসিন, তৃতীয়বার কোভিশিল্ড
Jalpaiguri: জলপাইগুড়ির জয়ন্তীপাড়ার বাসিন্দা রতন চক্রবর্তী। তিনি জলপাইগুড়ির একটি গ্যাস সরবরাহ অফিসে কাজ করেন।
জলপাইগুড়ি: দ্বিতীয় ডোজ়ের ক্ষেত্রেও এরকম অভিযোগ উঠেছিল। এবার বুস্টার ডোজ়ের ক্ষেত্রেও এক টিকাপ্রাপককে অন্য টিকা দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। প্রিকশন ডোজ় নিতে গিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির এক ব্যক্তি। তাঁর আগের ডোজ় দু’টি কোভ্যাকসিন ছিল। কিন্তু বুস্টার ডোজ়টি কোভিশিল্ড দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। এই ডোজ় নেওয়ার পর চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। কোনও সমস্যা হতে পারে কি না সে প্রশ্নই এখন তাঁর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এরকম কোনও অভিযোগ আসেনি। এলে খতিয়ে দেখবেন।
জলপাইগুড়ির জয়ন্তীপাড়ার বাসিন্দা রতন চক্রবর্তী। তিনি জলপাইগুড়ির একটি গ্যাস সরবরাহ অফিসে কাজ করেন। এর আগে দু’বার কোভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁর প্রিকশন ডোজ় নেওয়ার কথা ছিল। জলপাইগুড়ি ফার্মেসি কলেজে তৃতীয় ডোজ় নিতে যান। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ রতনবাবুর।
রতন চক্রবর্তীর অভিযোগ, তিনি সমস্ত স্লিপ, মেসেজ দেখিয়ে নাম এন্ট্রি করান। এরপরও এই ঘটনা ঘটেছে। ফার্মেসি কলেজের স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁকে কোভ্যাকসিনের বদলে কোভিশিল্ড দিয়ে দিয়েছেন। এই নিয়ে বলতে গেলে কথা কাটাকাটিও হয়। এরপরই তাঁকে একটি বেডে বসিয়ে রেখে স্বাস্থ্যকর্মীরা সরে যান বলে অভিযোগ। সেখান থেকে ছেলেকে ফোন করে তিনি সমস্ত বিষয় জানান। ছেলে অভিজিৎ চক্রবর্তী হাসপাতালে এসে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে দেখাও করতে চান। কিন্ত তিনি ব্যস্ত থাকায় দেখা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রতন চক্রবর্তী বলেন, “আমার কাছে মেসেজ আসে তিন নম্বর ডোজ় ২৭ তারিখ নেওয়ার কথা। তা নিয়েই বৃহস্পতিবার সদর হাসপাতালের ফার্মেসি কলেজে যাই। সেখানে মেসেজ দেখানোর পর কম্পিউটারে এন্ট্রি হয়। আমার হাতে একটা ভি চিহ্ন দিয়ে বলে জায়গা বলে দিল ইনজেকশন নেওয়ার। আমার দুই ডোজ় কোভ্যাকসিন নেওয়া। এবারও সেটাই পাব জানতাম। জিজ্ঞাসা করলাম, কী দিলেন হাতে এত ব্যাথা করছে। তখন বলছে কোভিশিল্ড। এদিকে মেসেজ পাঠাল কোভ্যাকসিন। আমার খটকা লাগায় প্রশ্ন করি। আমাকেও বোঝাতে থাকে। জানি না এই ডোজ় নিয়ে কী হবে।”
রতনবাবুর ছেলে অভিজিতের কথায়, “আমার বাবা আমাকে তিনটে সাড়ে তিনটে নাগাদ ফোন করে বলে ভ্যাকসিন নিতে এসেছিলাম। আমার কোভ্যাকসিন ছিল কিন্তু কোভিশিল্ড দিয়েছে। বাবাকে বলা হয়েছে ভুল করে দিয়েছে কোভিশিল্ড। আমিও বাবাকে বললাম তুমি কিছু বললে না। বাবা বলল, সবই বলেছে। স্লিপও দেখিয়েছে। তারপরও ভুল করেছে। আমি গিয়ে হাসপাতালে জানতে চাইলাম। তখন বলছে কোভ্যাকসিন দিয়েছে। আমি এন্ট্রির খাতা দেখতে চাই। দেখলাম, কোভিশিল্ডের ঘরে বাবার নাম। অথচ বাবার ফোনে যে মেসেজ এসেছে তাতে কিন্তু কোভ্যাকসিন লেখা। আমি চেপে ধরতেই বলছে ওদের কাছে নাকি বাবার ভ্যাকসিন নেওয়ার কোনও এন্ট্রিই নেই। বাবা নিজে হাতে ভি লিখে ভ্যাকসিন নিয়ে গিয়েছেন। এটা কোনও কথা হল।” যদিও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদারের বক্তব্য, “এই ব্যাপারে আমার কাছে এরকম কোনও খবর আসেনি। এলে নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখা হবে।”
আরও পড়ুন: Covid Bulletin: রাজ্যে কমল দৈনিক সংক্রমণ, কলকাতাতেও নেমেছে সংক্রমণের গ্রাফ