কলকাতা: সরকার গঠনের আগে শেষবেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে বিজেপি (BJP) তথা এনডিএ-র মধ্যে থাকা সবদলের মধ্যেই। এদিকে এরইমধ্যে আবার শনির বিকালে নবনির্বাচিত ২৯ জন সাংসদকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মোদীর সরকার গঠনের বাংলায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের অবস্থান কী হয়, নতুন কোনও রণকৌশল তৈরি হয় কিনা সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের। এদিনই কালীঘাটে ডেকে পাঠানো হয়েছে ২৯ জন নতুন সাংসদ।
প্রসঙ্গত, যে কোনও নির্বাচনের পরেই দেখা যায় নবনির্বাচিত জনপ্রিতিনিধিদের নিয়ে কালীঘাটে বৈঠক করেন মমতা। সেইদিক থেকে দেখলে এটি একটি রুটিন বৈঠক। কিন্তু, যেহেতু ইন্ডিয়া জোটে সামিল হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে দিল্লির রাজনীতিতে অতিসক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে। সক্রিয়তা দেখা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যেও। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন শরিক দলগুলির সঙ্গেও তিনি যোগযোগ করছেন। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবে এই বৈঠকে ২৯ জন নতুন সাংসদকে দেশের নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটা দিশা দেখানোর চেষ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় করবেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ।
অন্যদিকে আর দু’বছরের মাথায় আবার বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিধানসভার আগাম প্রস্তুতি এখন থেকেই খানিকটা সেরে রাখতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। লোকসভায় বড় জয়কে হাতিয়ার করেই নতুন করে সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধিতে ঝাঁপিয়েছে ঘাসফুল শিবির। সে কারণেই এদিন জেলা সভাপতি এবং জেলার শীর্ষ নেতৃত্বেরও বৈঠকে ডাকা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধু ছাব্বিশের রূপরেখা তৈরিই নয়, এবার লোকসভা ভোটে দল যেখানে যেখানে হেরেছে তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।