AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Meeting on Covid19: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সংক্রমণ, জেলাশাসক-পুলিশ সুপারদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসলেন মুখ্যসচিব

Meeting at Nobanno on Corona: রাজ্য জুড়ে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে করোনা। ইতিমধ্যেই একাধিক সেফ হোম ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টাক খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কলকাতা পুরসভা।

Meeting on Covid19: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সংক্রমণ, জেলাশাসক-পুলিশ সুপারদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসলেন মুখ্যসচিব
দৈনিক সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে রাজ্যে (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Oct 23, 2021 | 9:18 PM
Share

কলকাতা : করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের। বুলেটিন অনুযায়ী, গত তিন দিন ধরে করোনা (Covid 19) আক্রান্তের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে। কলকাতাতেই (Kolkata) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতেই এবার জরুরি বৈঠকে বসল নবান্নে (Nobanno) রাজ্য। নবান্নে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সব জেলার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারদের সেই বৈঠকে অংশ নিতে বলা হয়। আজ শনিবার নবান্ন থেকে ভার্চুয়ালি হয় সেই বৈঠক।

পরিসংখ্যান বলছে, কলকাতা, মালদহ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম বর্ধমান ও দার্জিলিং, এই জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমশ বাড়ছে। ফলে এই জেলাগুলোর জেলাশাসকদের আলাদা করে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে নবান্নের তরফে। শনিবার করোনা নিয়ে রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব। সেখানেই মুখ্যসচিব নির্দেশ এই দেন।

আবার প্রয়োজন অনুযায়ী কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালন করার কথাও বলা হয়েছে।

এ দিনে বৈঠকে কী কী নির্দেশ দেওয়া হল

১. আবার প্রয়োজন অনুযায়ী কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করতে হবে। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালন করতে হবে। ২. মাস্কের ব্যবহার আবশ্যিক করতেই হবে। ৩. টিকাকরণের হার বাড়াতে হবে। ৪. হাসপাতালগুলিতে কোভিড ফেসিলিটির পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। পাশাপাশি নতুন ও ক্রিটিক্যাল রোগীদের জন্য ব্যবস্থা তৈরি রাখতে হবে। ৫. সঠিকভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ট্র্যাক করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে করোনার দুটো টিকা নেওয়ার পরেও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন কেউ কেউ। এটা যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সরকারের। তাই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরির বিষয়ে জোর দিতে বলেছেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি তিনটে টি অর্থাৎ টেস্টিং, ট্র্যাকিং ও ট্রিটমেন্টের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নাইট কার্ফু, কনটেনমেন্ট জোন ও মাস্কের ব্যবহারের বিষয়ে পুলিশকেও প্রয়োজনে কঠোর হ‌ওয়ার নির্দেশ ও দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৪ জন। রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। শনিবার কলকাতা পুরসভার দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৪৯ জন। এর মধ্যে ১৯৪ জনের টিকার দুটি ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এদের মধ্যে টিকার প্রথম ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে ২২ জনের। আর টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে ১৯৪ জনের।গতকালই পুরসভার তরফে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, শহরের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবং দুটি সেফব হোম খুলে দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন : Covid19 in Kolkata: ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্ত ৪৪৯! টিকার দুই ডোজ় নিয়েও বাড়ছে সংক্রমণ