কলকাতা: দানা আছড়ে পড়ার আগে ৯ জেলার জেলাশাসককে নিয়ে বিকালেই জরুরি বৈঠক সারলেন মুখ্যসচিব। বিশেষ করে সমুদ্রের উপকূলবর্তী এলাকায় সমুদ্রের কাছাকাছি এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে শিবিরে রাখার কাজ নিয়ে পর্যালোচনা করেন বলে জানা যাচ্ছে। যে সব জেলায় ইতিমধ্যেই কালিপুজোর মণ্ডপ তৈরি করে ফেলা হয়েছে সেগুলির বাঁধন যাতে কোনভাবে আলগা না থাকে তার দিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।
যে জেলাগুলির উপর সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলির দিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। ঝাড়গ্রামের উপর দিয়ে ঝড়ের প্রভাব বেশি পড়ার আশঙ্কা। ফলে এই এলাকায় গাছ পড়লে যাতে তাড়াতাড়ি সেগুলি কেটে সরিয়ে ফেলা যায় তা দেখতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নীচু এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষজনকে সরানো হয়েছে বলেই প্রশাসনিক সূত্রের খবর। জেলার কন্ট্রোল রুম যাতে সব সময় কাজ করে তা আরও একবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর বলছে, ইতিমধ্যেই রক্তচক্ষু মেলে বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে দানা। বুধবার সকালে বৃষ্টির পূর্বাভাস তো ছিলই, বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির দাপট আরও বাড়বে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃহস্পতির রাতেই দামাল দানা আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে। সেই সময় ঘণ্টায় গতিবেগ থাকতে পারে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টারও বেশি। সে কারণে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকছে। তাই সেদিকে সবচেয়ে বেশি নজর রয়েছে প্রশাসনের।