Assembly monsoon session: মঙ্গলে বিধানসভায় মুখোমুখি মমতা-শুভেন্দু, সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাবে বক্তা কারা?
Assembly monsoon session: এদিন শোকপ্রস্তাবে নদিয়ার তেহট্টের শহিদ জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের নাম না থাকায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিধানসভার বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় যে শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন, সেখানে প্রাক্তন মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা, বিধায়ক তাপস সাহ-সহ পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃতদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। কিন্তু, শহিদ জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের নাম ছিল না।

কলকাতা: সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বিধানসভার বাদল অধিবেশন। প্রথম দিন অধিবেশনে শোকপ্রস্তাব আনা হয়। মঙ্গলবার অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ও তার জবাবে ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতমূলক অভিযানের প্রেক্ষিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাব আনা হবে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই প্রস্তাব আনা হচ্ছে। আর এই প্রস্তাবে শাসকপক্ষ ও বিরোধী পক্ষের হয়ে আগামিকাল কারা বক্তব্য রাখবেন, তা সামনে এল।
জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনীকে সম্মান জানিয়ে শাসকদলের তরফে বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পাশাপাশি বক্তব্য রাখবেন ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বিরবাহা হাঁসদা, মোশারফ হোসেন এবং মধুপর্ণা ঠাকুর। মুখ্যমন্ত্রী মিনিট ২০ বক্তব্য রাখবেন। ব্রাত্য ও চন্দ্রিমা ১০ মিনিট করে বক্তব্য রাখবেন। শাসকদলের বাকি ৩ বিধায়ক ৬-৭ মিনিট করে বক্তব্য রাখতে পারেন।
বিজেপির পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবে বক্তব্য রাখতে পারেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়া শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল এবং অশোক লাহিড়ীর নাম বক্তা হিসেবে উঠে আসছে। এই তিনজনের মধ্যে একজন হয়তো বলার সুযোগ না পেতে পারেন। তবে সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানানোর প্রস্তাবে ‘অপারেশন সিঁদুর’-র উল্লেখ না থাকা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে বিজেপি। আগামিকাল বিধানসভার অধিবেশনে শুভেন্দুরা এই নিয়ে কী বলেন, সেটা দেখার।
এদিকে, এদিন শোকপ্রস্তাবে নদিয়ার তেহট্টের শহিদ জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের নাম না থাকায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিধানসভার বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় যে শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন, সেখানে প্রাক্তন মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা, বিধায়ক তাপস সাহ-সহ পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃতদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। কিন্তু, শহিদ জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের নাম ছিল না। এই নিয়ে স্পিকার বলেন, “আমরা সামগ্রিকভাবে পহেলগাঁওয়ের ঘটনার কথা উল্লেখ করেছি। আলাদা কারও কথা বলা হয়নি। উল্লেখ করা হয়নি।” এদিনের শোকপ্রস্তাবে মুর্শিদাবাদে হিংসায় মৃত হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর পুত্র চন্দন দাসের নাম উল্লেখ না থাকায় সরব হয় বিজেপি পরিষদীয় দল। এই নিয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিভিন্ন ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়। সকলের নাম তো আর বিধানসভার শোকপ্রস্তাবে আসে না।”

