বাড়ল বাজেট ও সংরক্ষণ, সঙ্গে ২০ লক্ষ পাকা বাড়ি! তফশিলির মন পেতে ঢালাও ঘোষণা মমতার
বাজেট বৃদ্ধির পাশাপাশি পাকা বাড়ি তৈরি, ও চাকরিতে সংরক্ষণ বাড়ানোর কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
কলকাতা: তফশিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য ঢালাও ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে জাতি-উপজাতি কাউন্সিলের বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক শেষে একের পর এক ঘোষণা করতে শোনা যায় তাঁকে। তফশিলিদের জন্য বাজেট বৃদ্ধির পাশাপাশি পাকা বাড়ি তৈরি, ও চাকরিতে সংরক্ষণ বাড়ানোর কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
নবান্ন থেকে মমতা বুধবার জানান, তফশিলি দফতরের বাজেট বাড়িয়ে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসতে চায় রাজ্য সরকার। সেই মতো “৪০ হাজারের বেশি তপশিলী মানুষকে ১ হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়া হবে। দশ বছরে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষের কাছে জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পেও মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন তফশিলি পরিবারের মহিলারা,” বলেন মমতা। ইতিমধ্যেই সরকারি প্রকল্পে ১০.৬৯ লক্ষ তফশিলি মানুষকে বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ বছরে গোটা রাজ্যে শুধু মাত্র তফশিলি জাতি উপজাতির জন্যই ২০ লক্ষ নতুন বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্য়মন্ত্রী। একই সঙ্গে তফশিলি পড়ুয়াদের জন্য আগামী ৩ বছরে ১০০ টি ইংরাজি মাধ্যম স্কুল তৈরির কথাও তিনি ঘোষণা করেন।
এ ক্ষেত্রে যাতে কোনওভাবে কারচুপি না হয় তা নিশ্চিত করতে সরকারের শীর্ষ মহল থেকেই উপভোক্তাদের বেছে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে ড্রোন দিয়ে নিরিক্ষণ করে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কাদের জন্য পাকা বাড়ি তৈরি করে দিতে হবে। মমতা জানান, পাকা বাড়ির ক্ষেত্রে মাটির বাড়ি যাঁদের তাঁদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে৷ যেহেতু দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে সার্ভে করতে অনেক বেশি সময় এবং কর্মী লাগে, তাই উপর থেকে সার্ভে করে অনেক সহজেই বোঝা যাবে কোথায় কোথায় পাকা বাড়ি দরকার। এমনটাই বক্তব্য মমতার।
এখানেই শেষ নয়। পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের কথা মাথায় রেখে চাকরিতে সংরক্ষণও বাড়িয়ে ২২ শতাংশ করার কথা এ দিন ঘোষণা করেছেন মমতা। পাশাপাশি দলিত সাহিত্য সম্মেলন আয়োজন করার গুরুদায়িত্ব তিনি দিয়েছেন বলাগড়ের বিধায়ক তথা দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে। বলাগড়ে দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির একটি শাখা খোলা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই তফশিলি জাতি, উপজাতির উন্নয়নে পৃথক কাউন্সিল তৈরি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই সেই কাউন্সিল সদস্যদের সঙ্গে কথোপথন শুরু করেন। আদিবাসীদের জন্য তাঁর সরকার কী কী কাজ করেছে, তার একটি খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এরপর একে একে কাউন্সিলে থাকা বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে তাঁদের এলাকার নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন৷ মুখ্যমন্ত্রীও জানান, সমস্যা সমাধানের যথা সাধ্য চেষ্টা তিনি করবেন। আরও পড়ুন: আচমকা ‘চোখ’ বন্ধ কলকাতা পুলিশের! বিকল হয়ে গেল হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা