Narkeldanga Murder: কলকাতার রাস্তায় ‘খুন’! ভোটের আগে কোপানো হল কংগ্রেস নেতাকে
ভোরে নমাজের পড়ে ফেরার পথে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। নারকেলডাঙা এলাকায় রাস্তার উপরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে ইমামুদ্দিন নামের ওই ব্যক্তিকে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ মহম্মদ আশরফ ওরফে চুন্নুই চালিয়েছে এই হামলা।
কলকাতা: গ্রীষ্মের দাবদাহে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গ। কিন্তু উত্তরবঙ্গের মতো লোকসভা ভোটের হাওয়ায় এখনও ততটা তপ্ত হয়নি। তাই বলে রাজনৈতিক উত্তাপ যে কিছু কম রয়েছে এমন নয়। সেই উত্তাপ আরও বাড়ল কংগ্রেস নেতার খুন ঘিরে। বৃহস্পতিবার খোদ কলকাতা শহরে এক কংগ্রেস নেতাকে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ভোরে নমাজের পড়ে ফেরার পথে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। নারকেলডাঙা এলাকায় রাস্তার উপরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে ইমামুদ্দিন নামের ওই ব্যক্তিকে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মহম্মদ আশরফ ওরফে চুন্নুই চালিয়েছে এই হামলা। অতীতেও ইমামুদ্দিনকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। চুন্নুর সঙ্গে সম্প্রতি বিবাদে ইমামুদ্দিন জড়িয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস ইতিমধ্যেই নালিশ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইমামুদ্দিনের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল চুন্নুর। গত ১৩ এপ্রিল এ নিয়ে তাঁদের মধ্য হাতাহাতিও হয়েছিল। ইমামুদ্দিনের সঙ্গী ফকরুদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতারও করে। তার পর ইমামুদ্দিন নিখোঁজ ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। দিন দুয়েক আগেই ইমামুদ্দিন বাড়ি ফিরেছিল। তার পরই এই ঘটনা।
যদিও মৃতের পরিবারের লোকের অভিযোগ, চুন্নু অতীতেও হুমকি দিত ইমানুদ্দিনকে। বেআইনি পার্কিংয়ের প্রতিবাদ করায় সম্প্রতি ইমামুদ্দিনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ১৩ এপ্রিলের ঝামেলার পর সে জন্য বাড়ির বাইরে ছিলেন ইমামুদ্দিন। দুদিন আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। তার পর বৃহস্পতিবার সকালে নমাজ পড়তে গিয়েছিলেন। মসজিদ থেকে ফেরার পথেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়। ৬-৭ তাঁর উপর হামলা চালিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এর পর ইমামুদ্দিনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ইমামুদ্দিনকে চুন্নুর দলবলই খুন করেছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ইমামুদ্দিনের বাড়ি বৃহস্পতিবার দুপুরে যান উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি মৃত দলীয় কর্মীর পরিবারের লোকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। যদিও তৃণমূল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।