কেস ডায়রি না নিয়েই আদালতে তুলেছিল SLST চাকরি প্রার্থীদের, ভর্ৎসনার মুখে পড়তেই তড়িঘড়ি রিপোর্ট পেশ পুলিশের

SLST Job Candidate: ধৃত SLST চাকরি প্রার্থীদের ২০ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ, মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে এপিডিআর।

কেস ডায়রি না নিয়েই আদালতে তুলেছিল SLST চাকরি প্রার্থীদের, ভর্ৎসনার মুখে পড়তেই তড়িঘড়ি রিপোর্ট পেশ পুলিশের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 17, 2022 | 9:12 PM

কলকাতা: এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীদের (SLST Job Candidate) গ্রেফতারিকে ঘিরে গতকালই তুমুল উত্তেজনার সাক্ষী থেকেছিল তিলোত্তমা। বৃহস্পতিবারই গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভকারীদের অনশন মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয় ৬৮ জন চাকরিপ্রার্থীকে। শুক্রবার বিকালেই তাঁদের তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। এদিকের বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ৩ পুলিশ কর্মীর গায়ে হাত তোলার পাশাপাশি, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, পুলিশের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ আনা হয়েছে।  হেয়ার স্ট্রিট থানায় জমা পড়েছিল সেই অভিযোগ। কিন্তু, অভিযোগ আনলেও এদিন আদালতে তথ্য-প্রমাণ দাখিল করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ে পুলিশ। এমনকী অভিযুক্তদের মেডিকেল পরীক্ষা নিয়ে ফাঁপড়ে পড়ে পুলিশ। এদিকে যে সময় আদলতে শুনানি চলছে তখন আদালতের বাইরে পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাবি জোরালো আওয়াজ তুলতে দেখা যায় এপিডিআর কর্মীদের। ধৃতদের মুক্তির দাবিও তোলা হয়। 

অন্যদিকে, এদিন শুনানি শুরু হতেই দেখা যায়, আটক গ্রেফতার হওয়া ৬৭ জনের মধ্যে ৪৫ জনের অ্যারেস্ট মেমো ছিল, বাকিদের ছিল না। বাকিদেরদের অ্যারেস্ট মেমো কোথায়? আদালতে সে প্রশ্ন উঠতেই যথাযথ উত্তর দিতে পারেনি পুলিশ। এমনকী মেডিকেল রিপোর্টও সকলের ছিল না। শুনানি চলাকালীন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুলিশের জবাব, “আমরা মেডিকেল রিপোর্ট আনতে যাচ্ছি। রাস্তায় আছে”। এমনকী পরবর্তী সেই মেডিকেল রিপোর্ট এলে দেখা যায় তাতে সময় রয়েছে বিকেল ৪টে ৫৪ মিনিটের। এদিকে ততক্ষণে শুনানি শেষের পথে। সহজ কথায় যখন শুনানি চলছিল তথনও পর্যন্ত ধৃতদের মেডিকেল টেস্ট হয়নি বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। এ ঘটনা সামনে আসার পরেই বিক্ষোভকারীদের পক্ষের আইনজীবীরা পুলিশের বিরুদ্ধে ভুল পথে মামলা চালোনা করার অভিযোগ তোলে। 

এমনকী গ্রেফতার হওয়া আন্দোলনকারীদের আইনজীবী বিজয় শঙ্কর চৌবে সাফ দাবি করেন, গোটা লালবাজারই সিসিটিভি ফুটেজে মোড়া। সেখানে যদি পুলিশ কর্মীদের মারধর করা হয়ে থাকে, তাহলে সেই সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে পেশ করা হোক। এদিকে যে কোনও মামলায় সরকার পক্ষের তরফে আগে কেস ডায়রি পেশ করার রেওয়াজ রয়েছে। এদিন তা আদালতে কেন পেশ করা হল না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। যদিও এ নিয়ে যখন আদালতের মধ্যে বিস্তর চাপান-উতর চলছে তার প্রায় ১০ মিনিট পর এসে পৌঁছায় কেস ডায়রি। এদিন এসএলএসটি প্রার্থীদের তরফে আদালতে সওয়াল করেন প্রায় ৭ থেকে ৮ জন আইনজীবী। যদিও শেষ পর্যন্ত সমস্ত সওয়াল জবাব শেষে প্রধান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ময়ূখ মুখোপাধ্যায় ৪৫ জন পুরুষ আন্দোলনকারীকে ২০ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। বাকি মহিলা আন্দোলনকারীদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।