AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর আর নেই ‘কবচকুণ্ডল’, বিচারপতি মান্থার দেওয়া ‘ঢাল’ সরিয়ে নিলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত

Suvendu Adhikari High Court: সেই সময় শুভেন্দুর এই 'রক্ষাকবচ' নিয়ে সরব হয়েছিল খোদ রাজ্য। পাল্টা মামলা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই জল গড়িয়েছে শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। কিন্তু দিনশেষে বহাল থেকেছে রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ। 'রক্ষাকবচ' পেয়েছেন শুভেন্দু। তবে তার মেয়াদ আপাতত শেষ হল বললেই চলে।

Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর আর নেই 'কবচকুণ্ডল', বিচারপতি মান্থার দেওয়া 'ঢাল' সরিয়ে নিলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত
বাঁদিকে শুভেন্দু অধিকারী, ডানদিকে জয় সেনগুপ্তImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Oct 24, 2025 | 1:19 PM
Share

কলকাতা: বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দেওয়া ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহার করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর সিঙ্গল বেঞ্চ। আপাতত আদালতের দৌলতে আর কোনও রকম ‘ঢাল’ পাবেন না রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা। ফলত শুভেন্দুর অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করছেন একাংশ। এছাড়াও, মানিকতলা-সহ মোট চারটি মামলায় সিবিআই এবং রাজ্যের যুগ্ম SIT গঠন করেছে আদালত।

২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে এই ‘রক্ষাকবচ’ পেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মূলত একটি মামলার শুনানির সময় শুভেন্দুর আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন, ‘যদি বিরোধী দলনেতাকে প্রতিহিংসার রাজনীতির মাধ্যমে একাধিক মামলায় জর্জরিত করে দেওয়া হয়, তা হলে তিনি নিজের কাজ ঠিক করতে পারবেন না।’ শুভেন্দুর হয়ে সওয়ালকারীদের এই যুক্তি মেনে নিয়েছিল আদালত। দেওয়া হয়েছিল ‘রক্ষাকবচ’। যার দৌলতে রাজ্যে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করার আগে অভিযোগকারীদের আদালতের অনুমতি নিতে হত।

বলে রাখা প্রয়োজন, সেই সময় শুভেন্দুর এই ‘রক্ষাকবচের’ বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল খোদ রাজ্য সরকার। পাল্টা মামলা করা হয়েছিল তাঁদের তরফে। এমনকি, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্য়ায়ের এজলাসে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দেওয়া নির্দেশ খারিজ হয়ে যায়। এরপর শুভেন্দুর ‘রক্ষাকবচ’ মামলার জল গড়ায় দেশের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। সেখানে গিয়ে মেলে ‘গ্রিন সিগন্যাল’। বহাল থাকে রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ। ‘রক্ষাকবচ’ পেয়েছেন শুভেন্দু। তবে তার মেয়াদ আপাতত শেষ হল বললেই চলে।

শুক্রবার বিরোধী দলনেতার ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহারের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে চলা মোট ২০টি মামলা খারিজের আবেদন জানানো হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই সময়ই এই ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি, ১৫টি মামলা খারিজ করে বেঞ্চ। কিন্তু মানিকতলা-সহ চারটি মামলায় সিবিআই এবং রাজ্যের যুগ্ম সিট গঠন করার নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। 

শুভেন্দু ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, ‘এতদিন ধরে যে রক্ষাকবচটা ছিল, আজ চূড়ান্ত শুনানির পর তা প্রত্য়াহার করা হয়েছে। শুভেন্দুর অধিকারীর বিরুদ্ধে অনেকগুলি এফআইআর চ্য়ালেঞ্চ করা হয়েছিল। আপাতত বেশ কয়েকটি বাদ দেওয়া হয়েছে। আর বাকি থাকা মামলাগুলিতে সিবিআই ও রাজ্য পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।’ এই ঘটনা রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন একাংশ। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পুরনো মামলা কবর খুঁড়ে বের করতে পারে শাসকশিবির, মত ওয়াকিবহাল মহলের।