CPM-ISF: মঙ্গলবার রাতেই বিমানের সঙ্গে বৈঠক হয়ে গেল নওশাদের, জোট তাহলে পাকা?
CPM-ISF alliance: গত বিধানসভা ভোটে সংযুক্ত মোর্চা গড়ে ভোটে লড়েছিল সিপিএম, কংগ্রেস, আইএসএফ। যদিও নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হতেই দেখা যায় খাতায় আসে মাত্র একটা আসন। ভাঙড় থেকে আইএসএফের টিকিটে জেতেন নওশাদ।

কলকাতা: হাতে আর মাত্র ক’টা। কিন্তু গত বিধানসভা ভোটের মতো এবার জোটটা হবে কিনা সেই চাপানউতোরের আজও শেষ হয়নি। মেলেনি সবুজ সংকেত। এরইমধ্য়ে অবশেষে বামফ্রন্ট নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে আইএসএফ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে বৈঠক করলেন নওশাদ সিদ্দিকী, শামসুর আলি মল্লিকরা। কোন আসনে কে দাঁড়াবে, ইতিমধ্যেই সে বিষয়ে একটা প্রাথমিক কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে জোট নিয়ে আলোচনার জন্য একাধিকবার বিমানকে চিঠি দিয়েছিল আইএসএফ। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে প্রায় ঘণ্টা খানেক আলোচনা হয় বাম আর আইএসএফ নেতৃত্বের মধ্যে। গত সেপ্টেম্বরের শেষেই শোনা গিয়েছিল ভোটের জোট নিয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছিলেন নওশাদ। অন্যদিকে পাল্টা নওশাদকেও বিমান ফোন করেছিলেন বলে শোনা যায়। তখনই জানা গিয়েছিল পুজো মিটে গেলেই দুই পক্ষের মধ্যে কথা হতে পারে।
গত বিধানসভা ভোটে সংযুক্ত মোর্চা গড়ে ভোটে লড়েছিল সিপিএম, কংগ্রেস, আইএসএফ। যদিও নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হতেই দেখা যায় খাতায় আসে মাত্র একটা আসন। ভাঙড় থেকে আইএসএফের টিকিটে জেতেন নওশাদ। তবে খাতাই খুলতে পারেনি বাম কংগ্রেস। এমতাবস্থায় ফের জোট হলেও কে কোন কোন আসনে প্রার্থী দেবে, কোথাই বা কার কতটা ক্ষমতা বেশি তা নিয়ে বোঝাপড়া চলছে। কংগ্রেস জোটে এলে তাদেরই বা কী অবস্থান হবে তা নিয়েও কাটাছেঁড়া কম হচ্ছে না। যদিও আগেই নওশাদ দাবি করেছেন গত কয়েক বছরে গোটা রাজ্যেই তাদের ক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে। সাফ বলেছিলেন, “মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দিনাজপুরে আমাদের সংগঠন ব্যাপক হারে তৈরি হচ্ছে। আর হাওড়া তো আছেই। কলকাতাতে এক থেকে দু’টি জায়গায় আমরা সংগঠনকে বুথ স্তরে তৈরি করতে পেরেছি।” এখন দেখার জোট হলে বামেরা ঠিক কোথায় কোথায় আইএসএফ-কে আসন ছাড়ে।
