TV9 Bangla IMPACT: ৮০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক, D.EL.ED কলেজ নিয়ে সাফ অবস্থান পর্ষদের
D.EL.ED Certificate: উল্লেখ্য, ডিএলএড কলেজে পার্ট ওয়ানে কত জন পড়াশোনা করছেন, তার একটি রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করতে হয়। সেই রিপোর্ট সংগ্রহ করার সময়ে পর্ষদ নিজেও দেখেছে, তাতে উপস্থিতির হারে মারাত্মক গোল রয়েছে।
কলকাতা: টাকা দিলেই D.EL. ED সার্টিফিকেটের রমরমা! এমনকী হোম ডেলিভারিও করা হয় সার্টিফিকেট। TV9 বাংলায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এবার ভুয়ো সার্টিফিকেটের রমরমা রুখতে ময়দানে পর্ষদ। সোমবার বেলা ২টোয় বৈঠকে বসবে পর্ষদ। পর্ষদ স্পষ্ট করে দিয়েছে, ডিএলএড কলেজে ৮০ শতাংশ উপস্থিতি ও প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে ৯০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। জাল সার্টিফিকেটের রমরমার খবর যখন প্রকাশ্যে আসে, তখন TV9 বাংলার হাতে আসে ফোনের কথোপকথন। সেখানে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘৪০ হাজার টাকা দিলে, সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন।’ সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই পর্ষদ তৎপর হয় বলে সূত্রের খবর। পর্ষদের তরফে বলা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে বলা হয়, উপস্থিতির হার ঠিক না থাকলে কোনও রিপোর্টই গ্রহণ করা হবে না।
উল্লেখ্য, ডিএলএড কলেজে পার্ট ওয়ানে কত জন পড়াশোনা করছেন, তার একটি রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করতে হয়। সেই রিপোর্ট সংগ্রহ করার সময়ে পর্ষদ নিজেও দেখেছে, তাতে উপস্থিতির হারে মারাত্মক গোল রয়েছে। আর তারপর সার্টিফিকেটের যে ‘হোমডেলিভারির’ খবর প্রকাশ্যে আসে, তাতে টনক নড়ে পর্ষদের।
এই প্রত্যেকটা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য বেলা ২টোয় বৈঠক করবে পর্ষদ। ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন পর্ষদের আধিকারিকরা, প্রত্যেকটা ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে উপস্থিতির হার নিয়ে। উপস্থিতির হার ঠিক না থাকলে রিপোর্ট গ্রহণ করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ভুয়ো ডিএলএড সার্টিফিকেট নিয়ে প্রাথমিক পর্ষদের অফিসে ইন্ডারভিউ দিতে এসেছিলেন এক যুবক। তাঁকে পাকড়াও করতেই পর্দাফাঁস। ৩ দিনে চার জনকে ভুয়ো সার্টিফিকেট-সহ পাকড়াও করা হয়। অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পর্ষদের তরফে বলা হচ্ছে, “অন্যের নামের জায়গায় নিজের নাম বসিয়ে জেরক্স করে অ্যাটেস্টেড করে নিয়ে এসেছে আমার কাছে। তদন্ত হোক। সার্টিফিকেট পাচ্ছে কোথা থেকে?”