Weather Report: শূন্য শ্রাবণ! বাংলায় বৃষ্টি নেই…
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ হেলে ওড়িশার দিকে। এক দফা শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপ সরে গিয়েছে ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলের দিকে। তাই 'সুখবৃষ্টি' হবে ওড়িশায়, বঞ্চিতই থাকবে বাংলা
কলকাতা: অসার আষাঢ়। শ্রাবণেও ঘাটতি। ভাদ্র আসার আগে হবে সুখবৃষ্টি? শনিবার আশার আলো দেখিয়েছিল মৌসম ভবন। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। মুখের হাসিটা সবেমাত্র চওড়া হতে শুরুই করেছিল, হঠাৎ ‘বিপত্তি’। অভিমুখও বদলে ফেলেছে নিম্নচাপ। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ হেলে ওড়িশার দিকে। এক দফা শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপ সরে গিয়েছে ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলের দিকে। তাই ‘সুখবৃষ্টি’ হবে ওড়িশায়, বঞ্চিতই থাকবে বাংলা। দক্ষিণবঙ্গে সেভাবে ভারী বা অতি ভারী বৃষ্টির আশা অন্তত এ যাত্রায় আর নেই বললেই চলে।
শুরু থেকেই এবার খামখেয়ালি বর্ষা দক্ষিণবঙ্গে। প্রায় ৪৬ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণ প্রায় শেষের দিকে, বৃষ্টির ঘাটতিতে মাথায় হাত চাষিদের। পাট পচানোর জল নেই, আমন ধান রোপণের কাজও চলছে শামুক গতিতে। চাষের কাজের জন্য ভরসা ভূগর্ভস্থ জল। আশা জাগিয়েছিল এই নিম্নচাপ। চাষিরা ভেবেছিলেন, আমন ধানের গোড়াটা অন্তত বৃষ্টির জলে ভিজে যাবে। সে গুড়ে বালি! আশা জাগিয়েও সেভাবে বৃষ্টির ‘আশা’ আর নেই।
এদিকে, ভারী বৃষ্টি পাবে তবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলি। সেখানে আবার অন্য বিপদ। শক্তিশালী নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার কোটালের জেরে সুন্দরবন এলাকায় বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা। ভাসতে পারে গ্রাম। আবারও বসতভিটে হারানোর আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা। ১১ অগস্ট পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সাগরে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সতর্ক প্রশাসন।