Dengue: মশার লার্ভা নিধনের প্রশিক্ষণই নেই একাংশের, পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রশিক্ষণ রাজ্যের

Dengue: সরকারি ল্যাবের প্রশিক্ষণ অনুযায়ী, ২৮ হাজার ৮৫৮ জন ডেঙ্গির পরীক্ষার করিয়েছিলেন। তার মধ্যে ১৯ হাজার হাজার ডেঙ্গি আক্রান্ত। এই সংখ্যাটা কেবলমাত্র গ্রামীণ এলাকায়।

Dengue: মশার লার্ভা নিধনের প্রশিক্ষণই নেই একাংশের, পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রশিক্ষণ রাজ্যের
ডেঙ্গিদমনে ব্যস্ত পুরকর্মীরা (ফাইল ছবি)Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2023 | 11:38 AM

কলকাতা: ডেঙ্গি মোকাবিলায় পনেরো দফা কৌশল নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। আর সেই কৌশলের রূপরেখাই বলে দিচ্ছে গ্রামের পঞ্চায়েত এলাকায় ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত সোমবার ছুটির দিন হলেও রাজ্যের প্রতিটি জেলার সঙ্গে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। পঞ্চায়েতে নব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এ বছর গ্রাম বাংলায় ডেঙ্গির বাড়াবাড়ির একটি বড় কারণ ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব।

সরকারি ল্যাবের প্রশিক্ষণ অনুযায়ী, ২৮ হাজার ৮৫৮ জন ডেঙ্গির পরীক্ষার করিয়েছিলেন। তার মধ্যে ১৯ হাজার হাজার ডেঙ্গি আক্রান্ত। এই সংখ্যাটা কেবলমাত্র গ্রামীণ এলাকায়। আর সেই কারণে গ্রামগুলিতে এবার বাড়তি নজরদারি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। আর সেই কারণেই পঞ্চায়েত সদস্যদের ট্রেনিং দিতে উদ্যোগী রাজ্য। জেলাগুলির মধ্যে নদিয়া থেকে শুরু হয়েছিল ডেঙ্গির প্রকোপ। রানাঘাট১, রানাঘাট ২, কৃষ্ণনগরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কপালে ভাঁজ ফেলার মতো। এরপরই উত্তর ২৪ পরগনা, আমডাঙা থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক পরিমাণে আসতে শুরু করে।

রাজ্যের জুন-জুলাই মাসে যখন ডেঙ্গি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল, তখনই স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছিলেন, এর জন্য কিছুটা হলেও পঞ্চায়েত নির্বাচন ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ গ্রামীণ এলাকায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন হয়নি। ফলে পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে কাজ ব্যাহত হয়েছে। পুরকর্মীরা পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে করতে হয়, সে ব্যাপারে সম্যক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। কিন্তু পঞ্চায়েতের কর্মীদের অনেকে এখনও পর্যন্ত জানেনই না, কীভাবে এডিস মশার লার্ভা নিধন করতে হয়। অন্তত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা একটি সার্ভের মাধ্যমে সেটির প্রমাণ পেয়েছেন। কারণ তাঁদের সেভাবে কোনও প্রশিক্ষণই নেই। সঙ্গে টাকাপয়লা জোগানেরও অভাব রয়েছে। সেই কারণেই পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে জনপ্রতিনিধিদের সচেতন করাকেই প্রাথমিক ধাপ হিসাবে গণ্য করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।

ইতিমধ্যেই নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জেলাশাসকদের নিয়ে ভার্চুয়ালি একটি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, কীভাবে ডেঙ্গি নির্মূল করা সম্ভব, তা নিয়ে গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত থেকে নিবিড় পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এবং শহরের ক্ষেত্রে পুরসভাগুলির থেকে সেই পরিকল্পনা নিতে হবে।