Share Market: শেয়ার মার্কেটে টাকা ঢেলে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন? কলকাতায় কী হয়ে গেল জানলে চোখ কপালে উঠে যাবে
Share Market: একটি জাল ওয়েবসাইট তৈরি করেও নাকি ধৃতরা ক্রেডিট-ডেবিটের খতিয়ান দিতে থাকে। কিন্তু, তার কোনও প্রতিচ্ছবি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেখতে পাননি মলয়। তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে মলয়ের মনে। দ্বারস্থ হন পুলিশের।
কলকাতা: শেয়ার মার্কেটে টাকা ঢালুন। রাতারাতি বড়লোক হয়ে যান। এই ফাঁদ পেতেই প্রতারণার অভিযোগ। সব খুইয়ে পথে বসার জোগাড় বিধাননগরের বাসিন্দা মলয় কুমার রায়ের। শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হতেই গ্রেফতার দুই। গ্রেফতার করা হয়েছে পীযূষ আগারওয়াল ও শ্যাম আগারওয়াল ও শ্যাম আগরওয়াল নামে দুই ব্যক্তিকে। অভিযোগ, ধৃত দুই ব্যক্তি শেয়ার মার্কেটের নাম করে ২৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন মলয়ের কাছ থেকে। কিন্তু, উল্টে কিছুই ফেরত পাননি মলয়।
৪ জানুয়ারি মলয় রায় বিধাননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই মাঠে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তদন্ত শুরু হতেই উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ধৃতদের বন্ধুত্ব হয় মলয়ের। তারপরই তাঁকে একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড করা হয়। সেই গ্রুপেই কীভাবে শেয়ার মার্কেটে টাকা রেখে লাভবান হওয়া যায় সে বিষয়ে রোজই নানাভাবে তাঁকে উৎসাহিত করা হতে থাকে। তারপরই তিনি তাঁদের ২৪ লক্ষ টাকা দেন। এমনকী একটি জাল ওয়েবসাইট তৈরি করেও নাকি ধৃতরা ক্রেডিট-ডেবিটের খতিয়ান দিতে থাকে। কিন্তু, তার কোনও প্রতিচ্ছবি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেখতে পাননি মলয়। তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে তাঁর মনে।
এই খবরটিও পড়ুন
সোজা চলে যান বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায়। তদন্ত শুরু করে কলকাতা ও হুগলির শেওড়াফুলির নানা প্রান্তে হানা দেয় পুলিশ। পাকড়াও করা হয় পীযূষ আগরওয়াল এবং শ্যাম আগরওয়ালকে। ধৃতদের এদিনই তোলা হয় বিধাননগর আদালতে। এই চক্রের সঙ্গে আর কোন কোন ব্যক্তি যুক্ত আছে তা বুঝতে জোরদার জিজ্ঞাসাবাদও চালাচ্ছে পুলিশ।