Dilip Ghosh: দিলীপ ঘোষের বাংলো বাড়িটা কেমন, যা নিয়ে এত বিতর্ক?
Dilip Ghosh: দলিল বিতর্ক প্রকাশ্যে আসার পর প্রথম দিন থেকেই সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়ে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। অস্বীকার করেননি দলিলের কথা। দিলীপ ঘোষ বলছেন, আমি তো প্রকাশ্যে বলেছি। আমার দলিল। আমি দিয়েছি। কারও বাপের টাকায় আমি ফ্ল্যাট কিনিনি।"
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রসন্ন রায়। মিডলম্যান হিসেবে ধৃত সেই প্রসন্নের বাড়িতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) ফ্ল্যাটের দলিলের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই-এর সিজার লিস্টেও সেই দলিলের কথা উল্লেখ রয়েছে। সেই নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রশ্ন তুলেছেন, বিজেপি নেতার দলিল তাঁর ঘরে কেন পাওয়া গিয়েছে? প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বলেছিলেন, প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে হানা দিয়ে যদি দিলীপ ঘোষের দলিল পাওয়া যায়, তাহলে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে রেইড হবে না কেন?
বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের যে বাড়ি নিয়ে এত বিতর্ক, সেটি দেখতে কেমন? খোঁজখবর নিতে পৌঁছে গিয়েছিল টিভি নাইন বাংলা। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার আইডিয়াল ভিলায় ৯০৪ নম্বর দাগের প্রায় সাড়ে তিন হাজার বর্গফুটের একটি বাংলো। ডিড মারফত ও স্থানীয় সূত্র মারফত এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, গতবছরের ২২ এপ্রিল এই জমি রেজিস্ট্রি হয়েছিল বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। যদিও এখনও পর্যন্ত সেই জমি দিলীপ ঘোষের নামে আসেনি বলেই জানা গিয়েছে। কোচপুকুর এলাকায় একটি বহুতল আবাসনে ভাড়া থাকতেন দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে অনতিদূরেই কোচপুকুর খালের পাড়। এখানেই রয়েছে এই আইডিয়াল ভিলা।
প্রসঙ্গত, এই দলিল বিতর্ক প্রকাশ্যে আসার পর প্রথম দিন থেকেই সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়ে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। অস্বীকার করেননি দলিলের কথা। দিলীপ ঘোষ বলছেন, আমি তো প্রকাশ্যে বলেছি। আমার দলিল। আমি দিয়েছি। কারও বাপের টাকায় আমি ফ্ল্যাট কিনিনি। যেখানে কিনেছি, সেখানকার সোসাইটির ওই প্রধান। ওকেই তখন জানতাম আমি। বলেছিলাম, তুমিই আমার মিটারের নাম পাল্টে দাও। তাই যে অরিজিনাল কপি আমার ব্যাঙ্কে রয়েছে, তারই একটি কপি ইলেকট্রিক মিটার চেঞ্জ করার জন্য দিয়েছিলাম ওকে।” যদিও দিলীপ ঘোষের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপি শিবির। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি থেকে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এক টাকার অভিযোগ, কোনও বেনামি সম্পত্তির অভিযোগ, কোনও আর্থিক তছরূপের অভিযোগ যদি নিয়ে আসতে পারে, দিলীপ ঘোষ চিরকালের জন্য পাবলিক লাইফ ছেড়ে চলে যাবেন।”