West Bengal BJP: রাজ্য কমিটিতে অভিজ্ঞ লোকের অভাবেই বঙ্গ বিজেপির করুণ দশা! সঙ্ঘ প্রধানকে জানালেন দিলীপ

Dilip Ghosh and Mohan Bhagwat: সঙ্ঘ প্রধানকে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে রাজ্য কমিটি তৈরি হয়েছে। তাই দলের এই করুণ অবস্থা। আন্দোলন কিংবা সংগঠন সম্পর্কে এই কমিটির কোনও ধারনা নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন আরএসএস প্রধানকে।

West Bengal BJP: রাজ্য কমিটিতে অভিজ্ঞ লোকের অভাবেই বঙ্গ বিজেপির করুণ দশা! সঙ্ঘ প্রধানকে জানালেন দিলীপ
মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেন দিলীপ ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 19, 2022 | 11:05 PM

কলকাতা : কয়েকদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত (RSS Chief Mohan Bhagwat)। সেই সময় সঙ্ঘ প্রধানের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, মোহন ভাগবতকে বঙ্গ বিজেপির (West Bengal BJP) করুণ অবস্থার কথা জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। মূলত অভিজ্ঞতার অভাবের কথাই তুলে ধরেছেন তিনি। সঙ্ঘ প্রধানকে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে রাজ্য কমিটি তৈরি হয়েছে। তাই দলের এই করুণ অবস্থা। আন্দোলন কিংবা সংগঠন সম্পর্কে এই কমিটির কোনও ধারনা নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন আরএসএস প্রধানকে। শুধু দিলীপ ঘোষই নন। এর পাশাাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারও দেখা করেন মোহন ভাগবতের সঙ্গে। তিনিও নাকি প্রায় একই কথা বলেছেন বঙ্গ বিজেপি এই দুর্দশার জন্য।

সাম্প্রতিক কালে বিজেপির রাজ্য কমিটি ঘিরে দলের অন্দরে সমস্যার কথা আরও বেআব্রু হয়েছে। বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন দলেরই একাংশের নেতা। যেমন দলের রাজ্য কমিটি ও জেলা কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব নেই বলে দলের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করে দিয়েছেন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বাংলায় এক অভিনব রাজনৈতিক সংস্কৃতি দেখা গিয়েছে – চড়ুইভাতির রাজনীতি। জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারিদের মতো বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে চড়ুইভাতি করতে দেখা গিয়েছে শান্তনু ঠাকুরকে।

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে দীর্ঘদিনের পুরানো সৈনিক জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিদের দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু তারপরেও চুপ করানো যায়নি বিক্ষুব্ধ নেতাদের। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দুই নেতা। এদিকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, এমনকী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যেমন সাফল্য এসেছিল বিজেপিতে তারপর থেকে ক্রমেই দুর্বল হতে দেখা গিয়েছে বঙ্গীয় পদ্ম নেতাদের। একের পর এক নেতার দল ছেড়ে ফের তৃণমূলে চলে যাওয়া, পুরভোটের ভরাডুবি… সব মিলিয়ে কার্যত মনোবল আরও ভেঙেছে নীচু তলার কর্মীদের। আর এরই মধ্যে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, রাজ্যে সঙ্ঘের প্রায় হাজার খানেক শাখা নাকি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: TMC State Committee: জাতীয় কর্মসমিতির পর এবার তৃণমূলে রাজ্য কমিটির তোড়জোড়! শীঘ্রই ঘোষণা হতে পারে নতুন তালিকা

আরও পড়ুন: First aid facilities in trains: লোকাল ট্রেনে মেয়াদ উত্তীর্ণ ফার্স্ট এইড বক্স! কোনওটা চার বছরের পুরনো, কোনওটা বছর দু’য়ের