Next Governor of Bengal: রাজভবনে ধনখড়ের উত্তরসূরি কি হতে পারেন শিশির? কী বলছে সংবিধান?

Sisir Adhikari: বাংলার এক বর্ষীয়ান রাজনীতিকের নাম ঘিরেও জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। শিশির অধিকারী কি ধনখড়ের উত্তরসূরি হতে পারেন? এই নিয়েও গুঞ্জন ছড়িয়েছে।

Next Governor of Bengal: রাজভবনে ধনখড়ের উত্তরসূরি কি হতে পারেন শিশির? কী বলছে সংবিধান?
দৌড়ে রয়েছেন শিশির অধিকারী?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2022 | 1:13 PM

কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ইতিমধ্যেই উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে এনডিএ। আর এরপর থেকেই একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে, কে হবেন বাংলার পরবর্তী রাজ্যপাল? জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরি হিসেবে মুকতার আব্বাস নকভি এবং আরিফ মহম্মদের নাম ভেসে আসতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগেই সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব ছেড়েছেন নকভি। অন্যদিকে আরিফ মহম্মদ বর্তমানে কেরলের রাজ্যপাল হিসেবে রয়েছেন। এই দুই নামের পাশাপাশি বাংলার এক বর্ষীয়ান রাজনীতিকের নাম ঘিরেও জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। শিশির অধিকারী কি ধনখড়ের উত্তরসূরি হতে পারেন? এই নিয়েও গুঞ্জন ছড়িয়েছে।

তবে বিষয়টি নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি জানি না, কে কোন দৌড়ে আছেন। সাধারণত আমরা জানি, একই রাজ্যের লোককে সেখানে রাজ্যপাল করা হয় না। জানি না, আইন আছে কি না। অন্য যে কেউও হতে পারেন। যেমনভাবে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী এবং উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী নিয়ে ধামাকা দিয়েছেন মোদীজি বা এনডিএ, সেক্ষেত্রে যিনিই হবেন, তিনি যোগ্য ব্যক্তি হবেন। ভারতে তেমন লোকের অভাবও নেই। অনেক সাংসদ, বিধায়ক, রাজ্যপাল, যাঁরা বর্তমানে সক্রিয় রাজনীতিতে নেই, বা সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছেন এমন কাউকে পদত্যাগ করিয়েও করা যেতে পারে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য এবং সীমান্তবর্তী এই রাজ্যে যেভাবে রাষ্ট্রবিরোধী কাজকর্ম হচ্ছে,যেভাবে আইন-শৃঙ্খলার যেভাবে পতন হয়েছে, তার জন্য যোগ্য ব্যক্তিকে পাঠানো দরকার।”

এখন প্রশ্ন হল কোনও ব্যক্তি কি তাঁর নিজের রাজ্যের রাজ্যপাল হতে পারেন? সংবিধানে এই বিষয়ে কী বলা হয়েছে?

যদি সংবিধানের কথা বলতে হয়, তাহলে এ ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। কেন্দ্র মনে করলে কোনও ব্যক্তিকে তাঁর নিজের রাজ্যের রাজ্যপাল করতেই পারে। বাংলায় এমন নজিরও রয়েছে অতীতে। ১৯৯৯ সালে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেন আট মাসের জন্য পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়েছিলেন।

কিন্তু যে প্রথা চলে আসছে এতদিন ধরে, তা হল কোনও ব্যক্তিকে তাঁর নিজের রাজ্যে রাজ্যপাল পদে সাধারণত বসানো হয় না। কারণ হিসেবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, কেউ নিজের রাজ্যে রাজ্যপালের চেয়ারে বসলে, তিনি স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন, কিংবা নিজের রাজ্যের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ ভাবে আকৃষ্ট হতে পারেন। সেই কারণেই সাধারণত কোনও ব্যক্তিকে তাঁর নিজের রাজ্যের রাজ্যপাল করা হয় না। অবশ্য, অতীতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেন কোনও সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তাই সে ক্ষেত্রে বিশেষ পরিস্থিতিতে তাঁকে বাংলার রাজ্যপাল পদে বসানো সহজ হয়েছিল।