Local Train: হাওড়া, শিয়ালদহ থেকে রোজ কতগুলি লোকাল ট্রেন চলে জানেন?
Local Train: তথ্য বলছে, শিয়ালদহ ডিভিশনে শিয়ালদহ এবং ব্যারাকপুর এর মধ্যে ১৩টি আপ এবং ১৪টি ডাউন, শিয়ালদহ থেকে নৈহাটির মধ্যে ১৭টি আপ ১৮টি ডাউন ট্রেন চলে। অন্যদিকে শিয়ালদহ থেকে বনগাঁর মধ্যে ২৬ টি আপ ২৪টি ডাউন চলে।

কলকাতা: কলকাতা হোক বা শহরতলি, সেই কবে থেকে আম-আদমির যাতায়াতের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম লোকাল ট্রেন। সে বনগাঁ হোক বা বেলমুড়ি, বর্ধমান হোক বা বারাসত, কম খরচে শহরতলি বা মফঃস্বলে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই লোকাল ট্রেনের জুড়ি মেলা ভার। অফিস হোক বা ব্যবসায়িক প্রয়োজন, দৈনন্দিন কাজ, প্রত্যেকদিন লাখ লাখো মানুষ এই লোকালে চড়ে শহর-শহরতলিতে পাড়ি দেন। হাওড়া-শিয়ালদহের ভিড় তো সর্বদাই নজর কাড়ে গোটা দেশের। ব্যস্ততম স্টেশনের নিরিখে এই দুই স্টেশনের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে সারাদিনে ঠিক কতগুলি সাব-আরবান ট্রেন চলাচল করে? পরিসংখ্যানটা শুনলে কিন্তু চোখ কপালে উঠতে পারে।
পূর্ব রেলের পরিসংখ্যান বলছে, প্রত্যহ অর্থাৎ ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে প্রতিদিন ১২৬৫টি সাব-আরবান ট্রেন চলাচল করে। তবে সংখ্যার বিচারে শিয়ালদহের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে হাওড়া। তথ্য বলছে, হাওড়া থেকে প্রতিদিন ৩৮০টি সাব-আরবান ট্রেন চলাচল করে। সেখানে শিয়ালদহ থেকে প্রতিদিন ৮৮৫টি লোকাল ট্রেন যাতায়াত করে। তবে শুধু আবার কিন্তু ট্রেনের সংখ্যা দিয়ে বিচার করলে হবে না, বেশ কিছু শাখায় যাত্রীদের ভিড়ের চাপও ব্যাপক। তাই সেই অনুপাতে লোকালের সংখ্যারও তারতম্য আছে।
কী বলছে শিয়ালদহের ছবি?
তথ্য বলছে, শিয়ালদহ ডিভিশনে শিয়ালদহ এবং ব্যারাকপুর এর মধ্যে ১৩টি আপ এবং ১৪টি ডাউন, শিয়ালদহ থেকে নৈহাটির মধ্যে ১৭টি আপ ১৮টি ডাউন ট্রেন চলে। অন্যদিকে শিয়ালদহ থেকে বনগাঁর মধ্যে ২৬ টি আপ ২৪টি ডাউন চলে। পাশাপাশি আপ ও ডাউনে একটি করে মাতৃভূমি লোকালও চলে। একইসঙ্গে শিয়ালদহ থেকে ডানকুনির মধ্যে আপ ও ডাউন লাইনে ২০টি করে ট্রেন চলে। শিয়ালদহ থেকে গেদের মধ্যে আপ লাইনে ১০টি ও ডাউন লাইনে ৯টি ট্রেন চলে। শিয়ালদহ থেকে ক্যানিংয়ের মধ্যে আপ লাইনে ট্রেন সংখ্যা ২৪। ডাউন লাইনে ট্রেনেের সংখ্যা ২২। পাশাপাশি একটি করে মাতৃভূমি লোকালও চলে।
শিয়ালদহ থেকে বারুইপুরের মধ্যে ১৯টি আপ এবং ১৯টি ডাউন লোকাল চলে। একইসঙ্গে উভয় দিকেই একটি করে মাতৃভূমি লোকালও চলে। পাশাপাশি শিয়ালদহ থেকে ডায়মন্ড-হারবারের মধ্যে ২৬টি আপ ও ২৫টি ডাউন লোকাল চলে। বজবজ শাখায় আপ ও ডাউন লাইনে ২৫টি করে লোকাল চলে। পাশাপাশি শিয়ালদহ-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখায় ২৪টি আপ লোকাল ও ২৩টি ডাউন লোকাল রয়েছে। শিয়ালদহ থেকে হাসনাবাদের মধ্যে ১২টি আপ ১৪টি ডাউন ট্রেন রয়েছে। রানাঘাট থেকে বনগাঁর মধ্যে ১৭টি আপ এবং ১৬টি ডাউন ট্রেন চলাচল করে।
কী বলছে হাওড়ার ছবি?
হাওড়ায় যদিও একাধিক শাখায় পর্যাপ্ত ট্রেন না থাকার অভিযোগ লাগাতার উঠেছে। ক্ষোভ বেড়েছে যাত্রীদের মধ্যে। একাধিক লাইনে তো প্রায় ১ ঘণ্টার বেশি ব্যবধানে চলে ট্রেন। তথ্য বলছে, হাওড়া-বর্ধমান ভায়া কর্ড লাইনে সারাদিনে চলে ২৩টি আপ এবং ২০টি ডাউন ট্রেন চলে। হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে ২৪টি আপ এবং ২২টি ডাউন ট্রেন চলে। হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় ৪২টি আপ এবং ৪১টি ডাউন ট্রেন চলে। পাশাপাশি এই শাখায় আপ ও ডাউনে একটি করে মাতৃভূমি লোকালও চলে। হাওড়া থেকে শেওড়াফুলির মধ্যে ১১টি আপ ও ১১টি ডাউন ট্রেন চলে। হাওড়া থেকে কাটোয়ার মধ্যে আপ ও ডাউনে ৯ট করে লোকাল চলে। হাওড়া-তারকেশ্বরের মধ্যে ২০টি আপ এবং ২৩টি ডাউন ট্রেন চলে। এছাড়াও বর্ধমান কাটোয়া রুটে আপ ও ডাউনে ৬টি করে ট্রেন চলে। ব্যান্ডেল ও নৈহাটির মধ্যে উভয় দিকে ১৯টি করে ট্রেন চলাচল করে।
