Suvendu Adhikari: ডাক্তারদের আন্দোলনের অপমৃত্যু হয়েছে, কিন্তু বিজেপি ছাড়বে না: শুভেন্দু

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায় | Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 27, 2024 | 5:57 PM

Suvendu Adhikari: জুনিয়র ডাক্তারদের একগুচ্ছ ‘পরামর্শও’ দিতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। তাঁর দাবি, “জুনিয়র ডাক্তারদের কেন্দ্রের স্বাস্থ্যসচিবের মধ্যস্থতার দাবি করা উচিত ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা যে ফলপ্রসূ হতে পারে না, অশ্বডিম্ব হয় তা প্রমাণিত।”

Suvendu Adhikari: ডাক্তারদের আন্দোলনের অপমৃত্যু হয়েছে, কিন্তু বিজেপি ছাড়বে না: শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী

Follow Us

কলকাতা: এখনও ধিকিধিকি চলছে আরজি কর আন্দোলের আগুন। আগের মতো পুরোদমে না হলেও এখনও নানা জায়গায় দেখা যাচ্ছে বিক্ষিপ্ত আন্দোলনের ছবি। যদিও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মনে করছেন, “বাম এবং অতি বামেরা এই আন্দোলনের অপমৃত্যু ঘটিয়েছে।” সোজা কথায়, শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট করে দিয়েছে বাম অতিবামদের জন্য আন্দোলন সফল হয়নি। এদিকে ডাক্তাররা যেমন তাঁদের আন্দোলন থেকে বারবার রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন তেমনই বিজেপি নেতারা গেলেও উঠেছে গো ব্যাক স্লোগান। তা নিয়ে আগে বেশ কয়েকবার বিজেপি নেতারা পাল্টা আক্রমণ শানান। বিতর্কিত বেড়েছিল অশোক দিন্দা, দিলীপ ঘোষেদের মতো নেতাদের কথায়। যা নিয়ে বিস্তর চাপনউতোরও চলে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে, রাজনৈতিক মহলে। 

এরইমধ্যে আবার হয় বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক। সেখান থেকে আসে বড় নির্দেশ। বিতর্কের আবহেই দলের কোর কমিটির বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল বিজেপি নেতারা যেন এমন কোনও মন্তব্য না করেন যাতে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে ভুল বার্তা না যায়। এদিকে তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। ধারেভারে আরও বড় হয়েছে চিকিৎসকদের আন্দোলন। দফায় দফায় বৈঠকও হয়েছে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। যদিও এখন শুভেন্দু আবার বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের সাক্ষাৎ আমার এবং মানুষের ভালো লাগেনি। কারণ মমতা এই সবের জন্য দায়ী। অন্য ভাবেও সরকারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।” যদিও শুভেন্দু বলছেন, ডাক্তারদের আন্দোলনে ‘ইতি’ পড়লেও বিজেপি ছাড়বে না। দীপাবলির পর শুরু হবে।

এই খবরটিও পড়ুন

এমনকী এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের একগুচ্ছ ‘পরামর্শও’ দিতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। তাঁর দাবি, “জুনিয়র ডাক্তারদের কেন্দ্রের স্বাস্থ্যসচিবের মধ্যস্থতার দাবি করা উচিত ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা যে ফলপ্রসূ হতে পারে না, অশ্বডিম্ব হয় তা প্রমাণিত।” কিন্তু, এখন হঠাৎ এই আক্রমণ কেন? রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলকে ছাড়া কোনও আন্দোলনই দীর্ঘ সময়ের জন্য দানা বাঁধতে পারে না সে কথাই কি হাবেভাবে বোঝাতে চাইলেন শুভেন্দু? প্রশ্ন ঘুরছে রাজনীতির পাড়ায়। যদিও শুভেন্দু মুখে শুধু বললেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের শুরুটা ভালো। ফিনিশিংটা ভালো নয়। পশ্চিমবঙ্গে যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে চান, তাদের বলা উচিত নো ভোট টু মমতা।” 

Next Article