Durga Puja 2024: মাঠে গড়াগড়ি খাচ্ছে ‘শিরদাঁড়া’, বেলেঘাটার পুজোর থিম ঘিরে বাড়ল জল্পনা

সুজয় পাল | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Sep 29, 2024 | 6:53 PM

Durga Puja 2024: পূজা মণ্ডপে ঢোকার মুখেই বসানো হয়ে গিয়েছিল সেটি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়ি খানিকটা কাটছাট করা হয়েছে সেই থিমে। তুলে ফেলা হয়েছে মেরুদণ্ডটি। তবে কি অদৃশ্য কোনও শক্তির চাপেই 'মেরুদণ্ড' ঝোঁকাতে বাধ্য হলেন পুজো উদ্যোক্তরা?

Durga Puja 2024: মাঠে গড়াগড়ি খাচ্ছে শিরদাঁড়া, বেলেঘাটার পুজোর থিম ঘিরে বাড়ল জল্পনা
মাঠে গড়াগড়ি শিরদাঁড়ার
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: বাবারা নিঃশব্দে একটা পরিবারকে আগলে রাখে। সবরকম ঘাত-প্রতিঘাত থেকে পরিবারকে রক্ষা করে। নিজের মেরুদন্ডকে সোজা রেখে সংসারকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করেন। সেই কারণে সমস্ত বাবাদের সম্মান জানাতে বেলেঘাটা গান্ধীমাঠ ফ্রেন্ডস সার্কেল তাদের থিমের নাম দিয়েছে ‘বাবারা এমনই নিঃশব্দ হয়’। তবে সমস্যা এখানে নয়। এই থিমের জন্যই তৈরি করা হয়েছিল পনেরো ফুটের প্রতীকী একটি মেরুদণ্ড। পূজা মণ্ডপে ঢোকার মুখেই বসানো হয়ে গিয়েছিল সেটি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়ি খানিকটা কাটছাট করা হয়েছে সেই থিমে। তুলে ফেলা হয়েছে মেরুদণ্ডটি। তবে কি অদৃশ্য কোনও শক্তির চাপেই ‘মেরুদণ্ড’ ঝোঁকাতে বাধ্য হলেন পুজো উদ্যোক্তরা?

আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে প্রতিবাদীরা যখন শাসকের শিরদাঁড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এমনকী প্রাক্তন সিপি বিনীত গোয়েলের হাতেও তুলে দেন প্রতীকী শিরদাঁড়া। এবার বেলেঘাটা গান্ধীমাঠ ফ্রেন্ডস সার্কেলও একটি প্রতীকী মেরুদণ্ড বানিয়েছিলেন তাঁদের থিমের জন্য। তবে সেটি বর্তমানে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রতীকী ওই মেরুদণ্ডটিকে গান্ধী মাঠের পেছনে পরিত্যক্ত একটি জায়গায় অযত্নে রেখে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে,তাহলে কি কোনও অদৃশ্য চাপের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা?

বেলেঘাটা গান্ধী মাঠ ফ্রেন্ডস সার্কেলের পুজো উদ্যোক্তারা বলছেন, প্রতিবাদের অঙ্গস্বরূপ জুনিয়র ডাক্তারদের তৈরি সেই মেরুদণ্ডের সঙ্গে তাঁদের থিমের কোনও সম্পর্ক নেই। গত জানুয়ারি মাস থেকেই তাঁদের থিমের কাজ শুরু হয়েছিল। সেই সময় থেকেই থিমের নকশাতে ছিল ১৫ ফুটের এই মেরুদণ্ডটি। সেই মতোই কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন শিল্পী। মেরুদণ্ড তৈরি করে বসানোও হয়ে গিয়েছিল। তারই কিছুদিন পর আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদস্বরূপ প্রতীকী মেরুদণ্ড তৈরি করে আন্দোলনের সরব হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তার জেরেই পুজোর থিম ও আন্দোলনের মেরুদণ্ড কাকতালীয়ভাবেই মিলে গিয়েছিল বলে দাবি উদ্যোক্তা ও শিল্পীর।

বস্তুত, বেলেঘাটা গান্ধী মাঠ ফ্রেন্ড সার্কেলের পুজোর সভাপতি রাজু নস্কর দীর্ঘদিন ধরেই শাসকদলের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত। এই পুজো মণ্ডপে ঢোকার মুখেই বড় করে ছবি রয়েছে তৃণমুল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ,বিধায়ক পরেশ পাল ও সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের। তাহলে কি শাসক দলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে ভয় পেয়েই পুজোর উদ্যোক্তারা বিতর্ক থেকে সরে গেলেন? এ দিকে এই ঘটনার জেরে বেলেঘাটাবাসীর একাংশ বলতে শুরু করেছেন, পুজো উদ্যোক্ততারাও ‘মেরুদণ্ডহীনতার’ পরিচয় দিলেন।

রাজু নস্কর যদিও বলছেন, “পুজো একটা উৎসব। আমরা উৎসব নিয়েই থাকতে চাই। অন্য কিছু ভাবছি না। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে নই।”

 

Next Article