Election Commission in Bengal: রাজ্যের প্রস্তাবিত নামে সায়, SIR আবহে বাংলায় দুই আধিকারিক নিয়োগ কমিশনের
Election Commission of India: তিনি ২০১৩-র ব্যাচের পশ্চিমবঙ্গ ক্য়াডারের আইএএস অফিসার। বলে রাখা ভাল, এই দু'জনেই নির্বাচন কমিশনে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত যথাক্রমে আসানসোল-দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির কার্যনির্বাহী কর্তা ও বাংলার অর্থ দফতরের বিশেষ সচিবের পদে কাজ করেছেন।

কলকাতা: ভোটের আগেই বাংলার জন্য নতুন দুই আধিকারিক নিয়োগ করল দেশের নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার বাংলার জন্য একটি অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও একটি যৌথ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নিযুক্ত করেছে কমিশন। কেউ কেউ বলছেন, এই নিয়োগের মাধ্যমে বাংলায় সম্ভাব্য নিবিড় সমীক্ষা নিয়েই আরও তৎপর হয়েছে কমিশন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য় টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলার অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পদে ২০১১-এর ব্যাচের আইএএস অফিসার অরুণ প্রসাদকে নিযুক্ত করেছে কমিশন। অন্যদিকে, যৌথ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পদে নিযুক্ত করা হয়েছে হরিশঙ্কর পানিকরকে। তিনি ২০১৩-র ব্যাচের পশ্চিমবঙ্গ ক্য়াডারের আইএএস অফিসার। বলে রাখা ভাল, এই দু’জনেই নির্বাচন কমিশনে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত যথাক্রমে আসানসোল-দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির কার্যনির্বাহী কর্তা ও বাংলার অর্থ দফতরের বিশেষ সচিবের পদে কাজ করেছেন।
সম্প্রতি, বাংলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের এই দুই পদের জন্য রাজ্য সরকারকে নামের তালিকা পাঠাতে বলেছিল কমিশন। সেই তালিকা থেকেই এই আইএএস পদমর্যাদা সম্পন্ন আধিকারিককে বাছাই করেছে দেশের নির্বাচন কমিশন। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া এখানেই যে শেষ হয়ে গিয়েছে, এমন নয়। কারণ কমিশন সূত্রে খবর, বাংলার জন্য এখনও ডেপুটি চিফ ইলেক্টোরাল অফিসারের তিনটি পদ খালি রয়েছে। যা পূর্ণ করতেও রাজ্যের থেকে নাম চেয়েছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই বাংলায় হতে পারে ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষা। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে SIR প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন দিল্লির কর্তারা। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্য়েই ভোটার তালিকার নিবিড় সমীক্ষার প্রস্তুতি সেরে ফেলতে হবে। তারা এও জানিয়েছিল, অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে দেশজুড়ে শুরু হবে যাবে পরিমার্জনের কাজ।
