ED: এটাও করতে হয় ED-কে! দুর্নীতির টাকায় কেনা পশুকেও করতে হল বাজেয়াপ্ত, দেশের মধ্যে সম্ভবত এই প্রথম বাংলাতেই
ED: ঘোড়া ভারতের বিভিন্ন রেসিং সার্কিটে আছে, যেমন কলকাতা, পুণে , বেঙ্গালুরুতে। ঘোড়া , তার নিজের জায়গাতেই থাকবে। যেমন আছে, সেইভাবেই সহিস, জকি থাকবে। ঘোড়ার রেস থেকে পাওয়া অর্থ যা আসবে, তা থেকেই তাদের দেখভাল হবে।
কলকাতা: কথায় বলে ঘোড়া কেনা-বেচা। তাও আবার দুর্নীতির টাকায়! রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই প্রথম দুর্নীতির টাকায় কেন পশু বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর বাংলায় যা ঘটল, দেশের মধ্যে সম্ভবত প্রথম বলেই দাবি তদন্তকারীদের।
কুণাল গুপ্তা, ইডি হাতে গ্রেফতার হওয়া কলসেন্টার দুর্নীতির কিংপিন। কলকাতার বুকে একাধিক ভুয়ো কলসেন্টারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ। যে প্রতারণার জাল বিছিয়েছিল বিদেশেও। সেই কুণাল গুপ্তা বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। কুণাল গুপ্তার ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছিল ইডি। তার মধ্যে মোট ৫.২৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তও করেছেন তদন্তকারীরা। দুবাই-সহ একাধিক দেশে মিলেছে বাড়ির হদিশ। বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছে কোটি টাকার ফ্ল্যাটও। কলসেন্টার-দুনিয়ার বাইরে রেসের মাঠেও পরিচিত মুখ ছিলেন কুণাল গুপ্তা। রেসের মাঠে ৩৭টা ঘোড়া ছিল তাঁর। ইডি-র দাবি, সেই সব ঘোড়া দুর্নীতির টাকায় কেনা।
কুণাল গুপ্তার ঘোড়া রেসিং সংস্থা ‘KG Stud Farm LLP-র’ ৩৭টি ঘোড়া কলকাতা ছাড়াও পুণে, মুম্বই-সহ দেশের সব রেসকোর্স-এ অংশ নিত। সব রেসকোর্সে কুণালের ঘোড়া বাজেয়াপ্ত করার কথা জানিয়েছে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে ইডি।
ইডি-র দ্বারা ঘোড়া বাজেয়াপ্ত হওয়ার অর্থ ঘোড়া ইডি নিজেদের হেফাজতে নিচ্ছে, তেমনটা নয়। এটা ইডি-র পরিভাষায় বলে ‘প্রভিশন্যাল অ্যাটাচমেন্ট’। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, বাজেয়াপ্ত করার পরে ঘোড়াগুলি যাতে আগের মতোই রেসে অংশ নেয়, কেয়ারটেকাররা আগেরমতই দেখভাল করে সে ব্যাপারে তৎপরতা নেওয়া হয়েছে। মামলার বিচার শেষে ঘোড়াগুলি নিলাম করবে ইডি।
ঘোড়া ভারতের বিভিন্ন রেসিং সার্কিটে আছে, যেমন কলকাতা, পুণে , বেঙ্গালুরুতে। ঘোড়া , তার নিজের জায়গাতেই থাকবে। যেমন আছে, সেইভাবেই সহিস, জকি থাকবে। ঘোড়ার রেস থেকে পাওয়া অর্থ যা আসবে, তা থেকেই তাদের দেখভাল হবে। ইডি সেই অ্যাকাউন্ট মেইনটেইন করবে। ঘোড়া রেস জিতলে যে অর্থ কুণাল পেত, সেটা এখন সেই অ্যাকাউন্টে জমা পড়লেও, কুণাল একসেস করতে পারবে না। ইডি নিয়ন্ত্রণ করবে। তারপর ঘোড়া নিলামে উঠবে।
সেই নিলামের অর্থ সরকারি ট্রেজারিতে জমা হবে। ইডি সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়ার পরই বিভিন্ন রেসকোর্সের ঘোড়া কাগজে কলমে দান করে দেওয়ার নামে নগদে কালো টাকা সাদা করছিল কুণালের সংস্থা।