Fake Voters: মুখ্যমন্ত্রীর বিস্ফোরক অভিযোগের পরেই বৈঠক! ভোটার কার্ডে ‘ভূত’ ধরতে উঠেপড়ে লাগছে কমিশন
Fake Voters: এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মমতা বলেন, গঙ্গারামপুরে ঢেলে ভোটার লিস্টে জালিয়াতি করেছে। সব জেলাতেই এমন কেস আছে। সব হরিয়ানার বাসিন্দায় ভর্তি। ভোটার লিস্টে নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে।”

কলকাতা: হাতে এখনও প্রায় এক বছর। কিন্তু, বাংলার বুকে হাজার হাজার ‘ভূতুড়ে ভোটারের’ খোঁজ এখন থেকেই যেন ভোটের উত্তাপটা একধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। ‘ভূতুড়ে ভোটার’ নিয়ে এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই অল আউট অ্যাটাকে নামতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমোকে। কীভাবে ভিন রাজ্যের ভোটারদের নাম বাংলার ভোটারদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে তা একেবারে ‘খতিয়ান’ তুলে ধরে দেখান। এবার কড়া ব্যবস্থার পথে নির্বাচন কমিশন।
সোজা কথায়, একই এপিক নম্বরে কার্ড ভিন রাজ্যে। এই খবর শোরগোল ফেলেছে গোটা দেশে। সূত্রের খবর, জাল কার্ড ধরতে উদ্যোগী নির্বাচন কমিশন। জেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে আরও সতর্ক থাকার কথাও বলছে কমিশন। অভিযোগ পেলেই তদন্তের নির্দেশ।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বিস্ফোরক অভিযোগের পরেই বৈঠক হয় কমিশনে। সব জেলার এডিএম এবং ইয়ারও-এর সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনের কর্তারা। বেশ কয়েকটি জেলা থেকে একই নম্বরের এপিক কার্ডের কথা জানতে পেরেছে কমিশন। প্রতিটি অভিযোগ কেন্দ্রীয় কমিশনে জানানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ওই কার্ডগুলি নিয়ে তদন্ত করবে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৪ মার্চ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের কথা রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার দীব্যেন্দু দাসের। এখন দেখার সেখানে আর কোনও পদক্ষেপ করা হয় কিনা।
অন্যদিকে এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মমতা বলেন, গঙ্গারামপুরে ঢেলে ভোটার লিস্টে জালিয়াতি করেছে। সব জেলাতেই এমন কেস আছে। সব হরিয়ানার বাসিন্দায় ভর্তি। ভোটার লিস্টে নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে। এইসব করে দিল্লি-মহারাষ্ট্রকে হারিয়েছে। ওরা এই খেলাটা ধরতে পারেনি। আমরা ধরেছি। এরপরই বঙ্গবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, “বাংলার মানুষকে অনুরোধ করব আপনারা প্লিজ ভোটার লিস্ট দেখে নিন। নয়ত এনআরসি-সিএএ করবে। আর নয়ত, আপনাকে ছাঁটাই করে দেবে।” তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে তীব্র চাপানউতোর চলছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
