কলকাতা: শীতের সকাল। বন্ধ ঘরে মোটে থাকতে চায় না একরত্তি মেয়ে। তাই বাবা রোজই এক বছর তিন মাসের মেয়েকে নিয়ে চারতলার ছাদে গিয়ে বসেন। বাপ-বেটিতে খুনসুটি চলে কিছুক্ষণ। ইশারায় বাবার সঙ্গে গল্প করে ছোট্ট মেয়ে। তারপর অফিস পথে রওনা দেন বাবা। শনিবারের সকালেও একইভাবে মেয়েকে নিয়ে ছাদের গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। খেলার সময় কীভাবে যেন হাত ফস্কে যায় শিশুকন্যা। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ঝাঁপ দেন বাবাও। ফ্ল্যাটের সামনে সিমেন্টের রাস্তায় পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। হাসপাতালে লড়াই করছে একরত্তি। বেহালা পর্ণশ্রীর ঘটনা।
আরও পড়ুন: গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্যসাথী থেকে ‘বঞ্চিত’
মৃত ওই ব্যক্তির নাম সুভাষ পাণ্ডা। পেশায় রেল কর্মী ছিলেন। আসল বাড়ি উড়িষ্যায়। পর্ণশ্রীতে ফ্ল্যাটে থাকতেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মেয়েকে নিয়ে রোজই ছাদে রোদ পোহাতে উঠতেন সুভাষবাবু। এদিনও তেমনটাই করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, সুভাষবাবুদের ফ্ল্যাটের ছাদের পাঁচিল খুব একটা উঁচু নয়। পাঁচিলের কাছাকাছিই মেয়েকে কোলে নিয়ে বসে নাচাচ্ছিলেন বাবা। কোনওভাবে বেসামাল হয়ে যান তিনি। শিশুটি হাত ফস্কে যায়।
আরও পড়ুন: ‘সঙ্কটমুক্ত’ বুদ্ধবাবু, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন দু’ তিনদিনের মধ্যে
মেয়েকে বাঁচাতে ঝাঁপ মারেন বাবা। মেয়েটি পাশের বাড়ির একটি গাছে তলায় গিয়ে পড়ে। সেখানে মাটি ছিল। কিন্তু সুভাষবাবু সিমেন্টের রাস্তার উপরে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এরপর বহু খোঁজাখুঁজি করে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।