কলকাতা: প্রথমে কথা কাটাকাটি, তারপর হাতাহাতি! তাও একেবারে প্রকাশ্যে। আর এই ছবি একেবারে সিপিএমের অন্দরে। মূলত নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সম্মেলনের মধ্যেই প্রথমে বাকবিতণ্ডা এবং তারপর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে সিপিএমের টালিগঞ্জ এরিয়া-২ কমিটির সম্মেলনে অশান্তি। সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির নেতৃত্ব কোনওরকমে তা সামাল দেন।
তবে নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ভোটাভুটি। প্রসঙ্গত, এই এরিয়া কমিটির এক সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে সিপিআইএম। নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শনিবার সম্মেলনের শুরুর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। শেষ পর্যন্ত তা হাতাহাতিতে পৌঁছায়। শহরের সিপিএমের সম্মেলন শুরু হতেই এই ধরনের ছবি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের অনেকের। বহিষ্কৃত এক নেতার প্রসঙ্গ ওঠা আর সম্মেলন মঞ্চে তা ঘিরে অশান্তি, তাও আবার শহর কলকাতায়! সিপিআইএমের অনুশাসন আলগা হতেই কী এমনটা হচ্ছে? সিংহভাগ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের অন্তত তেমনটাই মত।
নারী নিগ্রহের অভিযোগে ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএমের ওই তরুণ নেতাকে দিন কয়েক আগে বহিষ্কার করে সিপিএম। এদিন এরিয়া কমিটির সম্মেলন চলাকালীন বহিষ্কৃত নেতার বিরুদ্ধে যে দুই মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের আটক ও মারধরের দাবি তুলে ফেসবুকে লাইভ করছিলেন এরিয়া কমিটির এক সদস্য গৌতম গুহ রায়। পরে সেই লাইভ থেকে সরে আসেন তিনি। কিন্ত সম্মেলন চলাকালীন সেই প্রসঙ্গ তোলেন দলের কয়েকজন। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, বহিষ্কৃত নেতাকে কীভাবে একজন পার্টি সদস্য সমর্থন করছেন? এরিয়া কমিটির সম্মেলন চলাকালীন দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তিনি কি করে ফেসবুক লাইভ করতে পারেন? এ নিয়ে গৌতম গুহ রায় ও তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। সূত্রের খবর, সম্মেলনের মধ্যে শুভজিৎ দাসকে মারধর করে বিভু চট্টোপাধ্যায় বলে এরিয়া কমিটির এক সদস্য। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে লাগাতার বামেদের তোপ দেগেছে তৃণমূল। খোঁচা দিয়েছেন দলের একের পর এক নেতা। তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী তো ফেসবুকে লিখলেন, ‘সিপিআইএম দলটাই সার্কাসে পরিণত হয়ে গেছে। এখন এটা পার্টি না সেক্স স্ক্যান্ডালের আঁতুড়ঘর সেটা বোঝা মুশকিল।’